পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之8 নন্দনে নরক হীরাজি বলিল, “দাসাশ্রয় ;–নং এপোলো স্ট্রীট। যদি একবার তোমাকে তার মনে ধরে, তাহা হইলে আর তোমার রক্ষা নাই , রাতারাতি বড় মানুষ । এখন তোমরা আহারাদি কর, আমি যাই । ভাই ।” প্রেমজি বলিল, “আপনিও আমাদের সঙ্গে বসুন না ।” হীরাজি বলিল, “না, আমাকে এখন অনেক ষায়গায় ঘুরিতে হইবে ; বুড়ো মানুষ, পেটে কিছু পড়িলে আর নড়িতে পারিব না।” বৃদ্ধ দ্বারপ্রান্ত হইতে প্রস্থান করিলে এমিলি উঠিয়া দ্বার বন্ধ করিয়া দিল । হীরাজি তখনও যায় নাই, সে দ্বারে কর্ণ সংযোগ করিয়া দাড়াইয়৷ রহিল। এমিলি হাসিয়া প্রায় গড়াইয়া পড়িবার মত হইয়া বলিল, “এ পৰ্য্যন্ত অনেক আহাম্মুখ দেখিয়াছি, কিন্তু এই বুড়োটার জোড়া পাওয়া ভার ! যেচে এসে আমাদের টাকা ধার দিলে । এমন পাওনাদার আর গুটিকতক থাকিলেই বুড়োকে এতদিন ফেরার হইতে হইত। একদিন বুডো পস্তাইয়া মরিবে, দু’হাতে নিজের পাকা দাড়ী ছিড়িবে।” হীরাণি মৃদুপদ বিক্ষেপে নামিয়া পথে আসিয়া দাড়াইল, অঙ্কুটস্বরে বলিল, “হাস যে কয় দিন পার ; বড়সী যখন গিলিয়াছ—তখন আর পলাইতে পারিতেছ না।” ঠিক সেই সময়ে প্রেমজি এমিলিকে বলিতেছিল,”ভগবান আমাদের দুঃখে কাতর হইয়। এই বন্ধুটীকে পাঠাইয়াছেন । তিনি দয়াময় !" হায় শয়তান ! তুমিও ভগবানের নামে বিকাইয়া যাও !