পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షినbు নন্দনে নরক কিন্তু বায়রামজি তাহার অবস্থায় কিছুমাত্র অসুখী বা অসন্তুষ্ট ছিল না ; যাহাকে অভাবের তীব্র তাড়না সহ্য কৱিতে না হয়, সে-ই প্রকৃত সুখী। বায়রামের কিছুমাত্র অভাব ছিল না, কারণ অভাব ও অতৃপ্তির সহিত তাহার পরিচয়ের কখনও সুবিধা হয় নাই । যখন খামার হইতে বস্তা বস্ত ধান তাহাদের বাড়ীতে লইয়া যাওয়া হইত, তখন সে গাড়ীতে ধানের বস্তার উপর বসিয়া রাজপথ দিয়া বাড়ী আসিতে কিছুমাত্র লজ্জা বা সঙ্কোচ বোধ করিত না ; অথচ তাহার অপেক্ষ অনেক হীন অবস্থার লোকের পুত্রেরাও বেশ সুখে স্বচ্ছন্দে বাবুগিরি করিয়া কাল কাটাইত । বায়রাম ইহা দেখিয়াও দেখিত না ; কারণ, তাহার পিতা উপদেশ দিয়াছিলেন, বিলাসিত সম্পূর্ণরূপে পরিত্যজ্য, তাহাতে মানুষকে পশুর অধম করিয়া তোলে। একবিংশতি বর্ষে পদার্পণ করিলে, একদিন এজরা সাহেব বায়রামকে ডাকিয়া বলিলেন, “ব্যাঙ্কে কতকগুলি টাকা জমা দিবার জন্ত আমি একবার বোম্বাই যাইব ; আমার সঙ্গে অনেক টাকা থাকিবে, তদ্ভিন্ন বোম্বাইয়ে কাজও অনেক আছে ; এজন্য আমি মনে করিয়াছি, এবার আমি তোমাকে সঙ্গে লইয়া যাইব ।”—পিতার কথায় বায়রামের হৃদয় চঞ্চল হইয়া উঠিল ; বাল্যকাল হইতে বোম্বাই নগরের বিপুল ঐশ্বৰ্য্য ও বহু গৌরবের কাহিনী শুনিয়া এই নগর দেখিবার জন্য তাহার মনে অত্যন্ত আগ্রহের সঞ্চার হইয়াছিল ; কিন্তু সে কোনও দিন তাহার পিতার নিকট এই আগ্রহ প্রকাশ করিতে সাহসী झन्न बांझे । জব্বলপুর হইতে বোম্বাই যাইবার জন্ত গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেলিনস্থল।