পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ షివి রেলওয়ে নামক এখন যে সুবিস্তীর্ণ রেলপথ বর্তমান আছে, তখন তাহা উন্মুক্ত হয় নাই ; সুতরাং ইষ্টকবদ্ধ রাজপথে অশ্বযানে বা বয়েলের গাড়ীতে তখন থানা হইতে বোম্বাই যাইতে হইত। যথাকালে পিতা পুত্রে বোম্বাই আসিয়া একটি নগণ্য হোটেলে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন । এজরা সাহেব অহোরাদির পর পুত্রকে হোটেলে রাখিয়া ব্যাঙ্কে চলিলেন । বায়রামজি হোটেলের বাহিরে আসিয়া রাজপথে দাড়াইয়। বিস্ময়-বিল্ফারিত নেত্রে বিপুল জনস্রোত, নানা আকারের বহুবিধ যান, ও গগনস্পশী অট্টালিকা সমূহের গঠন-সৌন্দর্য দেখিয়া অভিভূত হইয়। পড়িল ; বিশ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত অন্ধ থাকিয় কোনও ব্যক্তি যদি বিধাতার অনুগ্রহে হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়া পায়, তাহা হইলে সে বিশ্বপ্রকৃতিকে যে চক্ষে দেখে, বায়রামও সেই ভাবে চারিদিকে চাহিতে লাগিল । সহস কে তাহার পশ্চাৎ হইতে ডাকিল, “বায়রাম !" বায়রামজি অত্যন্ত বিস্মিত হইয়া মুখ ফিরাইয়া দেখিল, একটি স্থবেশধারী সুন্দর যুবক তাহার দিকে চাহিয়া হাসিতেছে। বায়রামজি তাহাকে দেখিবামাত্র চিনিতে পারিল না, হতবুদ্ধির মত চাহিয়া রহিল । , আগন্তক যুবক তাহার ভাব দেখাইয়া খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল, সকৌতুকে জিজ্ঞাসা করিল, “সে কি ! তুমি তোমার পুরাতন বন্ধুদের এত শীঘ্র ভুলিয়া গিয়াছ ?” এতক্ষণ পরে বায়রামের মনে পড়িল, অনেক দিন পূৰ্ব্বে গ্রাম্য