পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ ‘I ල`ව এরূপ প্রভেদের কারণ কি ? তাহাকে তাহার প্রাপ্য মুখ, সম্পদ, সচ্ছন্দতা ও আরাম-বিরাম হইতে এ ভাবে কেন বঞ্চিত করিয়া রাখা হইয়াছে ? দুঃখে কষ্টে বায়রামের চক্ষু ফাটিয়া এক এক সময় জল পড়িত। সে ক্রমে আরও গম্ভীর হইয়া উঠিল, তাহার আত্মীয় বন্ধুগণের সহিত আর সে সাক্ষাৎ করিত না ; পথে দেখিয়া কেহ তাহাকে অভিবাদন করিলে, সে মনে করিত, ইহা অভিবাদন নহে, বিদ্রুপ। এজরা সাহেবের পুস্তকালয়ে অনেক পুস্তক ছিল ; জীবন-বৃত্তান্ত, ইতিহাস, আখ্যায়িকা, উপন্যাস প্রভৃতি নানাবিধ পুস্তক ছিল। বায়রামজি একে একে সেগুলি পাঠ করিতে লাগিল ; তাহাতেই সে মনে কিছু শান্তি পাইত । কিন্তু তাহার মনে দুইটা ভাব বদ্ধমূল হইয়। গিয়াছিল ; সে বুঝিয়াছিল, পৃথিবীতে তাহার মত দুঃখী আর কেহ নাই, এবং তাহার পিতা নিষ্ঠুর পিশাচের ন্যায় নিষ্ঠুর ও হৃদয়হীন ; এরূপ পিতা কখনও সস্তানের শ্রদ্ধা ও ভক্তির পাত্র হইতে পারেন না । এইরূপে তাহার পিতার প্রতি তাহার শ্রদ্ধা ভক্তি বিচলিত হইল ; কিন্তু বায়রাম পিতাকে অত্যস্ত ভয় করিত, পিতার নিকট কোনও দিন কোন আবদার করিতে তাহার সাহস হইল না । একদিন মধ্যাছে,আহারাদির পর এজরা সাহেব তাহার পুত্রের নিকট র্তাহার আজন্মের সংকল্পের কথা প্রকাশ করিলেন ; অগণ্য অর্থের অধিকারী হইয়াও কেন তিনি দীন দরিদ্রের ন্যায় কালযাপন করেন, তাহার কারণ তিনি পুত্রের নিকট খুলিয়া বলিলেন। অবশেষে তিনি আবেগভরে বলিতে লাগিলেন, "আমি স্বীকার করি, বিপুল পরিশ্রমে