পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বুদ্ধিমানের পরামর্শ এজর সাহেবের অট্টালিকার প্রায় এক মাইল দূরে ফর্দ নজি নামক একজন পারসী সাহকর বাস করিত ; ফর্দ নজি কতদিন পুৰ্ব্বে কোথ। হইতে উঠিয়া আসিয়। সেখানে বাস করিতেছিল, তাহ কেহ বলিতে পারিত না ; কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই সে অবস্থার বেশ উন্নতি করিয়াছিল ; সেই জন্য লোকের সন্দেহ হইত, চোরা মালের কারবার করিয়াই সে এরূপ সঙ্গতিপন্ন হইয়া উঠিয়াছে । একথা সত্য কি না বলা যায় না, তবে তাহার অনেক রকম কারবার ছিল ; পাঠক ক্রমে সে পরিচয় পাইবেন । বায়রামজির পিতা খরসেটুজি এজরাকে ফর্দ নজি তাহার মহাশক্র মনে করিত ; কারণ, ফৰ্দ্দ নজি একবার উৎকোচে বশীভূত হইয়া এজরা সাহেবের বিরুদ্ধে একটা ফৌজদারী মোকৰ্দমায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়াছিল ; ইহার ফলে, এজরা সাহেব তাহাকে জেলে পাঠাইতে উষ্ঠত হইয়াছিলেন ; কিন্তু ফর্দ নজি, অনেক চেষ্টায় ও বহু অর্থব্যয়ে নিস্কৃতি লাভ করিয়াছিল । - ফর্দ নজির বয়স পঞ্চাশ পঞ্চান্ন বৎসর হইবে । তাহার মুখ দেখিলেই বুঝিতে পারা যাইত, শয়তান তাহার সকল বুদ্ধি ও ধূর্তত সেই ক্ষুদ্র চক্ষু দুটাতে সঞ্চিত রাখিয়াছে ; এমন দুষ্কৰ্ম্ম ছিল না, ফৰ্দ্দ নজি যাহা অর্থলোভে করিতে না পারিত ; সে যাহাকে শক্ৰ মনে করিত, বিষপ্রয়োগে তাহার প্রাণসংহার করিতেও ফৰ্দ্দ নজির আপত্তি ছিল না ।