পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جمیے کہانی“ سے ФУ o নন্দনে নরক গাড়ী পথিপ্রাস্তে ওস্তাদের বাড়ীর কাছে আসিয়া পৌছিল ; ওস্তাদ বলিল, “এইখানেই আমি নামিব, ঐ আমার বাড়ী দেখা যাইতেছে ; হুজুরকেও আমার সঙ্গে নামিতে হইবে। হুজুর বড় পরিশ্রাস্ত হইয়াছেন, আমার বাড়ীতে অন্ততঃ একটু সরবৎ খাইয়। ঠাণ্ড হইয়। যাইবেন।” ওস্তাদের আগ্রহে বায়রামজি তাহার সঙ্গে তাহার গৃহে চলিল। বিশ্রাম কালে, তাহাদের মধ্যে নানা কথা চলিতে লাগিল। বায়রামজি জানিত না যে, এ ব্যক্তি তাহার পিতার একজন প্রধান শক্ৰ ! সে ওস্তাদের নিকট অকপটে তাহার মনের কথা ব্যক্ত করিল, অবশেষে বলিল, “আমার অবস্থা বড়ই শোচনীয়, আমার মনে হয়, এ জীবনে আমি কখনও মুখ ভোগ করিতে পারিব না। নির্দয় পিতার হস্তে পড়িয়া এই কঠোরত ও অত্যাচার আমার অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে ; আমি যাহাতে বাবার হাত হইতে উদ্ধার হইতে পারি, তুমি কি ইহার কোনও উপায় করিতে পার ?” ওস্তাদ বলিল, “আপনি এ পর্য্যন্ত আপনার পিতার হস্তে যত নিগ্ৰহ ভোগ করিয়াছেন, কোন পুত্রকে পিতার নিকট সেরূপ লাঞ্ছনা ও যন্ত্রণ সহ করিতে হয় না ; কিন্তু যখন আপনি স্বাধীন হইবেন, তখন আপনার মুখের দিন ফিরিয়া আসিবে ।” বায়রামজি বলিল, “আর ফিরিয়া আসিৰে ! ৰাবা অন্ততঃ আরও ৰিশ বৎসর বঁাচিবেন। আরও বিশ বৎসর যদি এই ভাবে কাটে, তাহী হইলে বৃদ্ধ বয়সে টাকা হাতে পড়িয়া আর কি ফল হইবে ?” ওস্তাদ বলিল, “আপনার পিতার মৃত্যুকাল পৰ্য্যন্ত আপনাকে টাকার জন্য অপেক্ষা করিতে হইবে না ; আপনার সাবালক হইতে