পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ساحیه-م-تی-حساحت মৃগয়৷ আমরা ইতিপূৰ্ব্বে ধনজিভাই বাদসার কন্য। আমিনার কথার উল্লেখ করিয়াছি । আমিনা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী ; কিন্তু বায়রামজির সহিত পরিচিত হইবার জন্য, সে এ পর্য্যন্ত যে সকল চাতুৰ্য্য অবলম্বন করিয়াছিল, তাহার কোনটিই সফল হইল না ; নানা চেষ্টাতেও সে বায়রামজির সহিত সাক্ষাৎ করিতে পারিল না। কিন্তু ইহাতে সে হতাশ হইল না ; সে বিশ্বাস করিল, একদিন না একদিন বায়রামজির সহিত তাহার পরিচয় হইবেই। বায়রামজি তাহার পদপ্রাস্তে জাহ নত করিয়া প্রেম ভিক্ষা না করিলে তাহার যৌবন বৃথা । মানুষের আন্তরিক সাধনা কখনও নিস্ফল হয় না ; অবশেষে সত্যই একদিন বায়রামজির সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল । তখন নব বসন্তের সমাগম হইয়াছে ; প্রকৃতি-দেৰী ফুলসাজে সজ্জিত হইয়া উঠিয়াছেন । উপবনে ও প্রান্তরে শু্যামলা প্রকৃতির সেই মনোরম শোভা দেখিয়া নয়ন মন মুগ্ধ হয় । অপরাহের ঈষদুষ্ণ মলয়ানিল হিল্লোল চু্যত-মুকুলের সৌরভ বহন করিয়া দিগ দিগন্তে যেন কি অব্যক্ত ব্যাকুলত বিস্তার করিতেছিল । নদীতীরে ইক্ষুক্ষেত্রের পাশ দিয়া একটা সঙ্কীর্ণ পথ ছিল ; সেই পথের এক প্রাস্তে আমিনার ও অন্ত প্রাস্তে মৃগয়ারত বায়রামের