পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sుష్పిb* নন্দনে নরক সুতীক্ষ কটাক্ষে বায়রামের চিত্ত উদ্ভাস্ত করিয়া মৃদ্ধ হান্তে বলিল, “ভাক্তার - আনিতে হয়, আমি এরূপ জখম হই নাই; পায়ের গোড়ালীতে একটা ছররা লাগিয়াছে মাত্র।” বায়রামজি বলিল, “তাহা হইলে আপনার চলিতে কষ্ট হইবে, আমি একখানি পালুকী লইয়া আসি।” আমিন ব্যগ্র ভাবে বলিল, “ন না, পাল্কী আনিতে হইবে না ; হাটিয়া যাইতে আমার কষ্ট হইবে না। এ ব্যাপার লইয়া সোরগোল করিলে আমাদের উভয়ের পক্ষেই নিন্দার কথা।” বায়রামজি বলিল, “আমার মনে বড়ই অনুতাপ হইয়াছে ; আমি . মৃগয়া করিতে আসিয়াছিলাম, কিন্তু আমার গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়৷ আপনার কোমলাঙ্গে বিদ্ধ হইয়াছে !” আমিন বলিল, “এজন্য আপনি দুঃখ করিবেন না ; তুচ্ছ রমণী জীবনের কোনও মূল্য নাই, নারী জীবন অতি আসার।—সঙ্গে সঙ্গে আমিনার পদ্মনেত্রে দুইটি মুক্তাবিন্দুর আবির্ভাব হইল ; কিন্তু সে মুখ ফিরাইয়৷ চক্ষু মুছিয়া বলিল, “আমার অনেক বিলম্ব হইয়া গেল ; মা হয় ত কত ভাবিতেছেন । আমি এখন চলিলাম, কিন্তু যত দিন বাচিব, আপনার এই দয়া আমার মনে থাকিবে। আমি একটি রোগীণীর সুশ্রুষা করিয়া এই নির্জন বন পথ দিয়া বাড়ী যাইতেছিলাম । এই পথ দিয়া আমি প্রায় প্রত্যহই যাতায়াত করি ; আজ হঠাৎ আপনার সহিত সাক্ষাৎ হইল, আজ আমার জীবনের শুভদিন। আপনার নিকট বিদায় লইবার পূৰ্ব্বে আমার একটি ভিক্ষা আছে ।”