পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দনে নরক * پياويO কিন্তু ওস্তাদ স্থানান্তরে:না গিয়া, সেই দরজায় কর্ণস্থাপন করিয়া দাড়াইয়া রহিল । প্রায় দুই মিনিট কাল কেহ কোনও কথা বলিল না; তাহার পর বায়রামজি আমিনার মুখের উপর সতৃষ্ণ দৃষ্টিপাত করিয়া বলিল, “আজ তোমার মুখ বড় মলিন দেখিতেছি, কি হইয়াছে ?” আমিন কোনও কথা বলিতে পারিল না,বা বলিল না ; কেবল কাতর দৃষ্টিতে মৃত্তিকার দিকে চাহিয়া রহিল । তাহার চক্ষু হইতে দুই বিন্দু অশ্রু ঝরিয়া গণ্ডতলে গড়াইয়া পড়িল । এই দৃশ্বে বায়রামজি অত্যন্ত বিচলিত হইয়া উঠিল; সে অধীর ভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কাদিতেছ কেন ? তোমার দুঃখের কারণ কি বল। আমার সাধ্য হইলে, তোমার দুঃখ দূর করিব ; তুমি আমাকে তোমার হিতৈষী ও বিশ্বাসী বন্ধু বলিয়া মনে করিতে পার।” আমিনা প্রথমে কোন উত্তর দিল না। বায়রামজির পীড়াপীড়িতে বলিল, “আমার মাতা একটি সন্ত্রাস্ত বংশীয় ধনবান যুবকের সহিত আমার বিবাহের সম্বন্ধ স্থির করিতেছেন ; বোধ হয় শীঘ্রই বিবাহ হইবে ।” এ কথা শুনিয়া বায়রামজির চক্ষু জলিয়া উঠিল, সে ব্যাকুল ভাবে বলিল, “তুমি এ প্রস্তাবে আপত্তি কর নাই ?” জামিন বলিল, “আপত্তি করিয়া ফল কি ? আমার আপত্তিতে কি পিতামাতার সংকল্প টলিবে ? হয় আমাকে বিবাহ করিতে হইবে, না হয় আত্মহত্য করিয়া এই বিপদ হইতে পরিত্রাণ লাভ করিতে হইবে।” বায়রামজি অসহিষ্ণু ভাবে বলিল, “না না, এ উভয়ের কিছুই