পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VL8O নন্দনে নরক বায়রামজি উত্তেজনা ভরে আমিনাকে বক্ষে টানিয়া লইল, তাহার পর বলিল, “তুমি আমার, আমার নিকট হইতে তোমাকে কেহ কাড়িয়া লইতে পারিবে না।” ওস্তাদ অনিমিষ নেত্রে, দরজার ফাক দিয়৷ এই প্রেমাভিনয় দেখিতে ছিল ; সে আনন্দে আর আত্মসংবরণ করিতে পারিল না, সে উভয় হস্ত উৰ্দ্ধে তুলিয়া মনের আনন্দে একবার নৃত্য করিয়া লইল, যেন শয়তান সশরীরে স্বর্গে উপস্থিত ! আমিন বায়রামের আলিঙ্গন পাশ হইতে বিদ্যুদ্বেগে আপনাকে মুক্ত করিয়া বিমুখ ভাবে সরিয়া দাড়াইল । বায়রামজি অপ্রসন্ন ভাবে ঈষৎ উত্তেজিত স্বরে বলিল, “তোমার অভিপ্রায় কি ? আমি তোমাকে বিবাহ করি, ইহা কি তোমার ইচ্ছ। নহে ? আমি বায়রামজি এজরা,–বংশমর্য্যাদায় আমি কাহারও অপেক্ষা হীন নহি । আমি রূপবান কি না জানি না, কিন্তু দেখিয়াছি, রূপসী যুবতীর সতৃষ্ণ নয়নে আমার দিকে চাহিয়া থাকে। আমার দেহে সিংহতুল্য বা। অবশ্ব মহাপণ্ডিত না হইলেও, আমি মূর্খ নহি । আমার এই নবীন বয়স, হৃদয়ে আমার অনন্ত আশা, এবং সেই আশা পুর্ণ করিবার জন্য আমার পৈতৃক ধন-ভাণ্ডারে অগণ্য অর্থ সঞ্চিত আছে ; আমার পৈতৃক সম্পত্তির মূল্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকার কম নহে। তবে কোন দোষে তুমি আমাকে বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক ?” আমিনা নত মুখে বলিল,“তোমাকে আমি বিবাহ করিতে অনিচ্ছুক, এ কথা কি আমি বলিয়াছি ?” বায়রামজি বলিল, “তবে কেন তুমি আমাকে উৎসাহিত করিতেছ