পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ O8ම් আমিন বলিল, ওস্তাদ মহা অর্থপিশাচ, টাকার জন্য ও সকলই করিতে পারে ; বিশ্বাসঘাতকতা ত সামান্য কথা।” বায়রামজি বলিল,“টাকার জন্য যে বিশ্বাস ঘাতকতা করে, তাহাকে হাতে রাখা কঠিন নহে ; অন্ততঃ উহার বক্তব্য কি শোনা যাক।” বায়রামজি ওস্তাদকে ডাকিয় তাহার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিল। ওস্তাদ বলিল, “দেখুন, আমার চুল পাকিয়া গিয়াছে, বৃদ্ধ হইয়াছি, অনেক দেখিয়া ও ঠেকিয়া সংসার সম্বন্ধে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি ; আপনার আমার কথা গুমুন,আর কিছুদিন অপেক্ষ করুন, সাবালক হইয়া আপনি যাহা ইচ্ছা করিবেন । তখন আমার সহায়তায় আপনি আপনার পিতাকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে পারিবেন।” বায়রামজি বলিল, “তুমি আর নুতন কথা কি বলিলে ? তোমার পরামর্শানুসারে চলিলে আমাদের সুবিধা হইবে না ; ইহা অপেক্ষ যদি ভাল পরামর্শ কিছু থাকে, ভাবিয়া চিন্তিয়া সময়াস্তয়ে আমাদিগকে বলিও ।” অতঃপর আর কোন কথা হইল না ; ওস্তাদের গৃহ হইতে উভয়ে বিদায় লইল । ইহার পর আমিনার সহিত বায়রামের আর অধিক বার সাক্ষাৎ হয় নাই ; তবে মধ্যে মধ্যে পত্র-ব্যবহার চলিত। ফুলিয়া ডাক পিয়নের স্থান অধিকার করিয়াছিল । বর্ষাকালে আমিনার , পিতা ধনজিভাই বাদস সপরিবারে তাহার পল্পীভবন ত্যাগ করিয়া বোম্বাইয়ে গিয়া বাস করিতে লাগিলেন ; তিনি যে স্ববৃহৎ নুতন অট্টালিক ভাড়া লইলেন, তাহার নাম রাখিলেন, “প্যারাডাইস”—অর্থাৎ ‘নন্দন ভবন।”