পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ oté : করিয়া বলিল, “মহাশয়, আপনার যত কথা বলিবার আছে বলুন ; অসহায় যুবতীকে আয়ত্বে পাইয়া অসঙ্কোচে তাহার অপমান করুন, তাহার দারিদ্র্যের প্রতি উপহাস করুন, তাহাকে নানা ভাবে উৎপীড়িত করিবার চেষ্ট করুন ; ইহা আপনার ন্যায় ভদ্র লোকের যোগ্য কাজ, এবং আপনার ন্যায় মহৎ বংশের পক্ষে বোধ হয় স্বাভাবিক ৷” এজরা সাহেব বলিলেন, “আমি ত তোমাকে কোনও তিরস্কার করি নাই, তুমি কেন অপমান বোধ করিতেছ ? যে যুবতীর কুপরামর্শে বায়রাম পিতৃদ্রোহী হইয়াছে, তাহাকে আমার তিরস্কার করিবার অধিকার আছে । আর আমি এমন অন্যায় কথাই বা কি বলিলাম ? বায়রামকে যদি প্রলুব্ধ করা তোমারই কাৰ্য্য হয় ; তাহা হইলে আমি তোমাকে মিনতি করিয়া বলিতেছি, সংসারে স্বত্র ও ধনবান যুবকের অভাব নাই, আমার পুত্রের স্কন্ধ ত্যাগ করিয়া অার একজনকে বাছিয়৷ লও। যদি অতঃপরও শুনিতে পাই আমার পুত্রকে তুমি কুপথে লইয়া যাইতেছ,তাহ হইলে তোমার মঙ্গল হইবে না ; আমি তোমার সর্বনাশে পশ্চাদ্বপদ হইব না।” আমিন এতক্ষণ পর্য্যন্ত কষ্টে ক্রোধ দমন করিয়াছিল, এবং অতি সাবধানে ও সংযত স্বরে বৃদ্ধের কথার উত্তর দিতেছিল ; কিন্তু বুদ্ধের শেষ কথা শুনিয়া সে আর স্থির থাকিতে পারিল না ; ক্ষোভে ও আপমানে ফণিনীর স্তায় গর্জন করিয়া উঠিল,উত্তেজিত স্বরে বলিল “মহাশয়, তবে আমার প্রতিজ্ঞাও গুমুন । আমার প্রতিজ্ঞ, যেমন করিয়া পারি, বায়রামজিকে বিবাহ করিব ; বায়রাম ভিন্ন এ জীবনে আর কেছ আমার স্বামী হইবে না। আপনি আমাকে কি ভয় দেখাইতেছেন ? আপনি