পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ළුම්ථ ওস্তাদ বলিল,“ইহার শক্তি অমোঘ ; ইহার আর একটি গুণ এই যে, ইহাতে মৃত্যু হইলে, দেহে বিষ-ক্রিয়ার কোনও পরিচয় পাওয়া যায় না, এবং শর্ষপ পরিমাণ বিষে হাতীর ন্যায় প্রকাণ্ড জানোয়ারেরও প্রাণ নষ্ট করা যায় ; ইহার একটি কণা পানীয় জলে বা সরবতে মিশাইয়া দিলে, আর রক্ষা নাই ! তাহাতে পানীয় দ্রব্যের স্বাদ বিকৃত হইবারও আশঙ্কা নাই ; ইহা বর্ণ ও গন্ধহীন।” আমিন বলিল, “সেই পিতাবশিষ্ট পানীয় দ্রব্য রাসায়নিক পরীক্ষণ দ্বারা কি বিষের অস্তিত্ব আবিষ্কার করা যায় না ?” ওস্তাদ মাথা নাড়িয়া বলিল, “না, পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ রাসায়নিক পণ্ডিত ও তাহার অস্তিত্ব আবিষ্কার করিতে পরিবে না, ইহাই এ চর্ণের বিশেষত্ব। বিষ প্রয়োগে মৃত্যুর কোনও লক্ষণই প্রকাশিত হইবে না। মৃতদেহ পরীক্ষা করিয়া বোধ হইবে, যেন সগিৰ্ম্মিতে মৃত্যু হইয়াছে ! এই বিষ পৃথিবীতে অত্যন্ত দুলভ, ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মাণী o, নিউইয়র্কের কোন কোন রসায়নাগারে ইহা দুই পাঁচ গ্রেণ মাত্র পাওয়া যাইতে পারে, ভারতে ইহার অস্তিত্ব কেহ অবগত নহে ।” আমিন জিজ্ঞাসা করিল, “এ বিষ তুমি কোথায় পাইলে ?” ওস্তাদ বলিল, “বহুদিন পূৰ্ব্বে কলম্বোতে একজন মার্কিন রাসায়নিক পণ্ডিতের আমি বিশেষ কোন উপকার করায়, তিনি কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ এই শিশিটা আমাকে উপহার দিয়াছিলেন ; সে আজ প্রায় পনের বৎসরের কথা । তারপর সেই সাহেবটীর মৃত্যু হইয়াছে, সুতরাং এ বিষ কোথা হইতে আসিয়াছে, তাহ কেহ জানিতে পারিবে না।”