পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ૭૭૯ আসিতেছেন।”—আমিন তাড়াতাড়ি সেই বিযের শিশিটা তুলিয়া লইয়া তাহার ফ্রকের পকেটে পুরিল। স্বারে করাঘাত হইবা মাত্র, ওস্তাদ দ্বার খুলিয়া দিল ; বায়রামের মূৰ্ত্তি দেখিয়া ওস্তাদ সভয়ে সরিয়া গেল। আমিন ভয়ে ও বিস্ময়ে অক্ষুট শব্দ করিল। বায়রামজি গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “আমার ললাটে রক্তচিহ্ন দেখিয়া, আমার পাগলের মত মূৰ্ত্তি দেখিয়া তোমরা বিস্মিত হইয়াছ ; ইহা আমার পিতার অপত্য স্নেহের নিদর্শন ! বেত্ৰাঘাতে তিনি আমাকে ক্ষত বিক্ষত করিয়াছেন ।” আমিন ওস্তাদকে বলিল, “ওস্তাদ, আমাকে এক লোটা জল, ও খানিক ন্যাকড়া দাও ; ক্ষত স্থানটি ধুইয়া আমি একটি পটি বাধিয়। দিই ; আঘাত অত্যন্ত গুরুতর হইয়াছে।” বায়রামজি বলিলেন, “থাক, আমার এই সামান্য ক্ষত দেখিয়। তোমাকে ব্যস্ত হইতে হইবে না, এজন্য আমি কাতর হই নাই ; কিন্তু আমি পলাইয়া না আসিলে, বাবা হয়ত আমাকে হত্যা করিতে ও কুষ্ঠিত হইতেন না।” আমিনা জিজ্ঞাসা করিল,“হঠাৎ তাহার এরূপ ক্রোধের কারণ কি ?” বায়রামজি বলিলেন,“আজ প্রভাতে তিনি তোমার অপমান করিয়f ছিলেন, এবং সেই কথা গৰ্ব্ব করিয়া আমার নিকট বলিতেছিলেন ; র্তাহার কথা আমার অসহ্য হওয়ায় আমি তাহাকে স্থই একটি কঠিন কথা বলিয়া ছিলাম, তাহার ফল—এই বেত্ৰাঘাত । বহু কষ্টে জামি আয়ুসংবরণে সমর্থ হইয়াছি, কেবল তোমাব মুখের দিকে চাহিয়াই সকল