পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ©ፃእ ബ ఇl=- * শিশিটি কাড়িয়া লইবার জন্য চেষ্টা করিলেন, কিন্তু অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত কৃতকাৰ্য্য হইলেন না ; অবশেষে তাহ তিনি হস্তগত করিলেন । আমিন বায়রামজির হাত হইতে তাহ পুনঃ-গ্রহণের চেষ্টা ন৷ করিয়া বলিল, “উহা বিষ নহে, অমৃত ; আমার মত দুঃখ যন্ত্রণাহত কলঙ্ক-লাঞ্ছিত জীবনের পক্ষে সঞ্জীবনী সুধ। কেন তুমি আমাকে আমার এই শেষ সম্বল হইতে বঞ্চিত করিলে ? উহার একটা মাত্র দণনা এক গ্লাস জলে বা সরবতে মিশাইয়া পান করিবামাত্র আমার সকল যন্ত্রণার অবসান হইত, কেহ জানিতেও পারিত না, কিরূপে তামার মৃত্যু হইল ; দেহে বিষের কোনও ক্রিয় প্রকাশ পাইলে না। জীবনে অনেক সুখের আশা করিয়াছিলাম ; রূপ, যৌবন, বংশগৌরব, বিধাত। সকলই আমাকে দিয়াছিলেন ; কিন্তু কে জানিত জীবনের এত আশা অকালে শুকাইয়া যাইবে ? এ ব্যর্থ জীবনকুসুম মধ্যাহ্নের পূৰ্ব্বেই ঝরিয়া পড়িবে ? বৃদ্ধ এজরা সাহেব আমার অপমান করিলেন, নিদম হইয়া আমার সকল সুখ হরণ করিলেন, সমাজে আমার কলঙ্ক প্রচারের পথ মুক্ত করিলেন ; আর তুমি তাহার উপযুক্ত পুত্র, অবশেষে তুমি আমার প্রাণবধ করিলে ! তোমাকে আর কি বলিল, তোমার মঙ্গল হউক ।” O বায়রামজি আবেগ ভরে বলিলেন, “না না, তোমাকে ফেলিয়৷ আমি কোথাও যাইব না, তুমি আত্মহত্যা করিও না। আমি শপথ করিয়া বলিতেছি, তুমি এজরা বংশের কুললক্ষ্মী হইবে, তোমাকে বিবাহ করিয়া আমি ধন্ত হইব । যে বিষ তুমি আত্মহত্যার জন্য তুলিয়া রাখিয়া