পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ግ8 নন্দনে নরক এজর সাহেব জলের গ্যাসটি মুখে তুলিতে তুলিতে ক্ষুব্ধ স্বরে বলিলেন, “পুত্রের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াও যে পিতা ক্ষমা না পায়, সে কি হতভাগ্য!”—মুহূৰ্ত্ত মধ্যে জলের গ্ল্যাস এজরা সাহেবের ওষ্ঠ ম্পর্শ করিল। বায়রামজি বুঝিলেন, আর মুহূৰ্ত্ত মাত্র পিতার পরমায়ু বৰ্ত্তমান ; মুহুৰ্ত্ত অতীত হইলে, বিন্দুমাত্র জলপান করিলে, পৃথিবীর সকল চিকিৎসা বৃথা হইবে । পিতার শেষ কথা তাহার হৃদয় স্পর্শ করিয়াছিল, গ্ন্যাস বৃদ্ধের ওষ্ঠ স্পর্শ করিবামাত্র, বায়রামজি বিকৃত স্বরে বলিয়া উঠিলেন, “রাখুন, রাখুন, ও জল খাইবেন না।” এজরা সাহেব পুত্রের কথায় গ্ল্যাসটি টেবিলের উপর নামাইয়। রাখিলেন, তাহার হৃদয় সন্দেহে পূর্ণ হইল ; তিনি পুত্রকে কি বলিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু আর তাহার কথা বাহির হইল না, কণ্ঠনালী হইতে অন্মুট ঘড় ঘড শব্দ বাহির হইল মাত্র, জিহব ও তালু শুষ্ক হইল, দৃষ্টিশক্তি বিলুপ্ত হইল ; তাহার পর এক মুহুর্তে র্তাহার বক্ষের স্পন্দন থামিয়া গেল, তিনি তৎক্ষণাৎ ভূমিতলে নিপতিত হইলেন, পড়িবার সময় টেবিলের একটি কোণে র্তাহার মস্তকে আঘাত লাগিল । বায়রামজি এক লম্ফে দ্বারপ্রান্তে আসিয়া উন্মত্তের ন্যায় চীৎকার করিয়া বলিলেন, “তোমরা শীঘ্র এস, আমি পিতৃহত্য করিয়াছি !"