পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓJ) নন্দনে নরক দিলেই সকল গোলমাল মিটিয়া যাইবে।—তিনি কন্যার আপত্তিতে কর্ণপাত করিলেন না। এজরা সাহেবের সহিত কয়েক দিন তাহার সাক্ষাৎ হয় নাই বলিয়া তিনি র্তাহার সহিত দেখা করিতে চলিলেন ; পথিমধ্যে ওস্তাদের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হইল । রেডিমণি সহাস্তে বলিলেন, “ওস্তাদ যে ! সব খবর ভাল ত ?” ওস্তাদ রেডিমণিকে নমস্কার করিয়া বলিল, “ভাল আর কেমন করিয়া বলি ? শুনিতেছি কাল রাত্রি হইতে এজরা সাহেব অত্যন্ত পীড়িত।” রেডিমণির মাথায় যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল ; তিনি সবিস্ময়ে বলিলেন,“তুমি বলিতেছ কি ? এই যে পরশু দিন তাহার সহিত আমার দেখা হইয়াছিল, পীড়ার কোনও লক্ষণ ত দেখি নাই।” ওস্তাদ গম্ভীর হইয়া বলিল, “এক ঘণ্টার কথা কেহ বলিতে পারে না, তিন দিন ত দুরের কথা । দেখিতেছি যম বেটার চক্ষুলজ্জা নাই, এজরা সাহেবের পাকা হাড়ের দিকেও তাহার নজর পড়িয়াছে পীড়া সাংঘাতিক, এ যাত্রা রক্ষণ পান কি না সন্দেহ ।” রেডিমণি বলিলেন, “কি পীড়া তাহ শুনিয়াছ ?” ওস্তাদ বলিল, “বড়লোকের ঘরের সংবাদ ঠিক পাওয়া যায় না ; কিন্তু আপনি এত বিক্ষিত হইতেছেন কেন ? পৃথিবীর নিয়মই এইরূপ ; জীবন ও মৃত্যু পাশাপাশি এক সঙ্গে বাস করিতেছে, কেহ কাহাকেও ছাড়িয়া থাকে না ।” রেডিমণির কর্ণে একথা প্রবেশ করিল না, তিনি ঝড়ের ন্যায় বেগে এজরা সাহেবের গৃহ স্বারে উপস্থিত হইলেন ; সেখানে এজরা সাহেবের