পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Obrషి নন্দনে নরক আমি মানুষ ; আপনাদের বংশের হিতার্থে যদি প্রাণ দিতে হয়, তাহ। আমি সৌভাগ্যের বিষয় মনে করিব।” সেই রাত্রে বায়রামজি ৰ্তাহার পিতার কক্ষে আসিয়া, একখানি চেয়ার টানিয়া লইয়া তাহার পিতার মাথার কাছে বসিয়া পড়িলেন ! আজ র্তাহার চক্ষে নিদ্রা নাই, হৃদয়ে আশা নাই, প্রেম নাই, শান্তি নাই ; তিনি নিদ্রাহীন নেত্রে পিতার দৃষ্টিহীন চক্ষুর দিকে চাহিয়া চাহিয়া জীবনের বহু অতীত কথার আলোচনা করিতে লাগিলেন ; র্তাহার মনে হইল, পিতা চিরদিন তাহার প্রতি অতি কঠোর ব্যবহার করিয়া আসিয়াছেন সত্য, কিন্তু কোনও দিন তাহার হৃদযে পুত্রস্নেহের অভাব ছিল না ; তাহার পিতার একমাত্র অপরাধ, তিনি যে ভাবে জীবন যাপন সঙ্গত মনে করিয়াছিলেন, পুত্রকে সেই ভাবে পরিচালনের চেষ্টা করিতেছিলেন ; তাহার পিতার ইহা অপরাধ হইলে, সেই অপরাধের জন্য তিনি কি ভীষণ দণ্ডের ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, তাহ। ভাবিয়া শিহরিয়া উঠিলেন ; আপনাকে পিতৃহন্ত বলিয়া মনে করিতে লাগিলেন। কিন্তু তখন অনুতাপ নিষ্ফল, সুতরাং সকল ক্রোধ আমিনার উপর গিয়া পড়িল । তিনি বুঝিলেন, আমিনাই তাহার হস্তে বিষের শিশি দিয়া তাহাকে পিতৃহত্যায় উত্তেজিত করিয়াছিল। র্তাহার পিতা সত্যই বলিয়াছিলেন, আমিন। ঐশ্বৰ্য্যের লোতে, তাহাকে বিবাহ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছে ; তিনি মোহে ভুলিয়া আমিনার হস্তের সাংঘাতিক অস্ত্রে পরিণত হইয়াছেন। মহা পাপপঙ্কে বিলুষ্ঠিত বায়রামজি মৰ্ম্মযাতনায় অধীর হইয়া উঠিলেন ; ওস্তাদকে একটা নররাক্ষস বলিয়া তাহার বোধ হইতে লাগিল ।