পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ S):SS) বায়রামজি বলিলেন, “তাহা হইলে স্বীকার করিতে হইবে, কাসে টজি বড় সৌভাগ্যবান ! এই সুন্দরীটি কে ?” রেডিমণি বলিলেন, “তাহার নাম শুনিলে বোধ হয় তুমি চিনিতে পারিবে, সেই মেয়েটা আমাদের বন্ধু ধনজিভাই বাদসার একমাত্র কন্যা আমিনা।” বায়রামজির মুখ সহসা লোহিত বর্ণ ধারণ করিল, তাহার পর দেখিতে দেখিতে তাহ বিবর্ণ হইয়া গেল । বায়রামজির এই ভাবাস্তর লক্ষ্য না করিয়া এলিজা বলিল, “বাবা, তোমার বোধ হয় শুনিতে ভুল হইয়াছে ; আমি শুনিয়াছি, অতি অল্প দিন পূৰ্ব্বে আমিনার একমাত্র সহোদরের মৃত্যু হইয়াছে, এ অবস্থায় এত শীঘ্ৰ যে তাহার বিবাহ হইবে, ইহা বোধ হয় না।" বায়রামজির হৃদয়ে যেন বিষাক্ত বাণ বিদ্ধ হইয়াছিল, তিনি অত্যন্ত বিমনা হইয়া উঠিলেন। রেডিমণি বলিলেন, “কাসে টজির বিশেষ আগ্রহেই বিবাহটা তাড়াতাড়ি হইতেছে ; আমাদের সম্রাস্ত সমাজে আমিনার মত চতুরা, বুদ্ধিমতী ও সুরসিক। কুমারীর বড় অভাব ।” বায়রামজি আর সেখানে বসিতে পারিলেন না, অন্যমনস্ক ভাবে রেডিমণির গৃহত্যাগ করিলেন । পথে আসিয়া তাহার বিশ্বস্ত বন্ধু দাদাচানজির সহিত হঠাৎ তাহার সাক্ষাৎ হইল । দাদাচান্‌জি বলিল, “আজ তিন দিন হইল আমি আমার আনিবের সঙ্গে বোম্বাই হইতে এখানে আসিয়াছি, কাসে টজি মেট আমাকে তাহার সেক্রেটারী নিযুক্ত করিয়াছেন ; এক রকম বেশ মুখেই আছি ।”