পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ 8 o g) ওস্তাদ তাহার জামার পকেট হইতে কতকগুলি কাগজ বাহির করিয়া, তাহা হইতে একথানা পত্র বাছিয়া লইয়া তাহা আমিনাকে দেখাইল। আমিনা সভয়ে দেখিল, বায়রামজির সহিত গোপনে কুলত্যাগ করিবার অভিপ্রায় জানাইয় ফুলিয়ার মারফৎ সে যে পত্র পাঠাইয়াছিল, ইহা সেই পত্ৰ ! আমিন অঙ্কুটস্বরে বলিল,“ফুলিয়া এমন বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছে! দেনার দায়ে তাহার মাতার সৰ্ব্বস্ব বিক্রয় হইয়া যাইতেছিল, আমি তাহাক রক্ষা করিয়াছি, ইহা বুঝি সেই উপকারের পুরস্কার ?”— আমিনা হস্ত প্রসারিত করিয়া পত্ৰখানি লইতে গেল । ওস্তাদ হাসিয়। বলিল, "ন। তাহ হইবে না, আমি আর আপনার হাতে যাইতেছি না, বিযের শিশি হইতেই আমার সে শিক্ষণ হইয়াছে । কিন্তু আপনি ব্যস্ত হইবেন না, কেবল এই পত্র নহে, আরও এক থানি পত্র আছে ; আপনি টাকা দিলেই এই উভয় পত্র আপনার হস্তগত হইবে । কিন্তু যদি আমি টাকা না পাই, কিম্বা ভবিষ্যতে কোনও বিপদে পড়ি, তাহা হইলে এই পত্রের সাহায্যে আমার কিছু-না-কিছু উপকার হইতে পারে।” আমিন বলিল, “আমার হাতে টাকা নাই ।” ওস্তাদ বলিল, “আপনার হাতে টাকা না থাকিতে পারে, কিন্তু বায়রামজির অর্থের অভাব নাই।” আমিন বলিল, “যাহার অর্থের অভাব নাই, তুমি অনায়াসেই তাহার নিকট যাইতে পার।” ওস্তাদ মাথা নাড়িয়া বলিল, “আপনি আমাকে সেরূপ বোকা মনে