পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ 86 సె আমিন বলিল “না, না, শীঘ্র উহাকে তাড়াইয়া দাও ; আমার বড় ভয় করিতেছে । কুকুর জাতটাকে আমি দুই চক্ষে দেখিতে পারি না।” বায়রামজির কুকুরকে চিনিতে পারিয়া আমিনার বুকের মধ্যে ধুক ধুক করিতেছিল ; কুকুর কামড়াইবে এ ভয়ে মহে, পাছে হঠাৎ মেট সাহেবের মনে কোনরূপ সন্দেহের সঞ্চার হয়, এই ভয়েই সে অধীর হইয়া উঠিয়াছিল। মেট সাহেব কুকুরটাকে তাড়াইবার চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু টাইগার’ পলাইল না, আমিনার কাছে ঘোঁসিয়। গিয়। লাঙ্গুল আন্দোলিত করিতে করিতে তাহার মুখের দিকে সতৃষ্ণ নয়নে চাহিতে লাগিল । মেট। সাহেব বলিলেন, “আমিন। কুকুরটা তোমাকে চেনে ৷” আমিন সবিস্ময়ে বলিল, “আমাকে চেনে ! তুমি বলিতেছ কি ?” মেটা সাহেব বলিলেন, “হঁ। নিশ্চয়ই চেনে, কিন্তু তুমি ইহাকে কেন চিনিতে পারিতেছ না, তাহাই আমার আশ্চর্য্য বোপ হইতেছে।" মেটা সাহেব আমিনাকে সঙ্গে লইয়া অগ্রসর হইলেন ; ‘টাইগার’ আমিনার সঙ্গে সঙ্গে চলিতে লাগিল, তাহ লক্ষ্য করিয়া মেট। সাহেব বলিলেন, “কুকুরটা যে তোমার বড়ই অমৃগত দেখিতেছি।” সেই পথ দিয়া একজন কৃষক যাইতেছিল, মেটা সাহেব তাহাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “ওহে বাপু, বলিতে পার এ কুকুর কার ?” কৃষক বলিল, “ওটা বায়রামজি এজরা সাহেবের কুকুর, এ কুকুর বড় শিকারী ; এ কুকুর সঙ্গে না থাকিলে বায়রামজি সাহেবের শিকার করাই হয় না।” আমিনা হঠাৎ উত্তেজিত হইয়া বলিল, “ই হঁী, এখন আমার মনে