পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ 8〉○ মেটা সাহেবের হাতে টোটা ভরা বন্দুক ছিল, দাদাচানজির মুখের কথা শেষ হইবার পূর্বেই তিনি তাহার ললাট লক্ষ্য করিয়া ঘোড়া টিপিলেন ; প্রথমে ধূমানল শিখা, সঙ্গে সঙ্গে গম্ভীর শব্দ, তাহার পর মুহুর্তেই দাদাচানজির প্রাণহীন দেহ ভূমিতলে পতিত হইল। দাদাচান্‌জি আমিন সম্বন্ধে মেটা সাহেবকে যে কয়টি কথা বলিয়াfছল, তাহা সত্য কিনা, তাহ পরীক্ষা করিয়৷ দেখিবার তাহার সাহস ছিল না, কারণ আমিনাকে তিনি উন্মত্তের ন্যায় ভাল বাসিতেন ; পাছে আমিনা মনে কোনও কষ্ট পায়, এই ভাবিয়। তিনি এই অপ্রীতিকর প্রসঙ্গ সম্বন্ধে আলোচনা করিলেন না । ইহার পর ফৌজদারী আদালতে মামল উঠিলে তাহার যে ফল হইয়াছিল, পাঠকগণ তাহ পূর্বেই অবগত আছেন। মামলায় মুক্তিলাভ করিয়া মেটা সাহেব অনুতপ্ত চিত্তে তাহার মৃত সেক্রেটারীর প্রণয়িণীর সন্ধান লইয়া জানিতে পারিলেন, বিবাহের পূর্বেই সেই যুবতী গর্ভবত হওয়ায় তাহার পিতামাত তাহাকে গৃহ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিয়াছে । কুলত্যাগিনী হতভাগিনী এক অনাথ আশ্রমে আশ্রয় লাভ করিযাছিল, সেখানে তাহার একটা পুত্রসস্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এই সস্তানের নাম প্রেমজি । মেটা সাহেব তাহার পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়। এই যুবতীর তরণ পোষণের ও প্রেমজি সাবালক হওয়া পৰ্য্যন্ত তাহার লালন পালন ও শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন ; কিন্তু কেন যে তিনি তাহাদের সাহায্য করিতেছেন, তাহ এই যুবতী বা তাহার সস্তান প্রেমজি একদিনও জানিতে পারে নাই ।