পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8〉や নন্দনে নরক S AM MAAA AAAA AAAASAAAA TeSeeeSee gA AM AAAAS AeeAMAAA AAAASAAMeAAA AAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SAMSeeAAA SAAAASAASAASAASAASAA AAAA AAAA AAAAMA AMAS EeAAAA ছয় মাস পরে ফান্তুন মাসের একদিন অপরাহ্নে তিনি বোম্বাইয়ের সমুদ্রতটে একটা সুদৃশু উপবনের পাশ দিয়া গাড়ী হাকাইয়া যাইতেছিলেন, এমন সময় বিপরীত দিক হইতে দুইটী কৃষ্ণবর্ণ বৃহৎ অশ্বসংযোজিত একখামি সুদৃশু ক্রহাম গাড়ী তাহার গাড়ীর পাশ্বে আসিয়া পড়িল। সেই গাড়ীতে একটা যুবতী একাকিনী বসিয়াছিলেন। যুবতী অপরূপ সুন্দরী ; তাহার কুসুম কোমল শুভ্রদেহে বিচিত্র কারুকার্য্য খচিত বহুমূল্য নীল শাড়ী শোভা পাইতেছিল, এবং হীরকালঙ্কার তাহার কৰ্ণে, কণ্ঠে ও প্রকোষ্ঠে ঝলমলু করিতেছিল। বায়রামের সহিত দৃষ্টি বিনিময় হইবা মাত্র, যুবতী মৃদু হাস্তে -বিলোল কটাক্ষ নিক্ষেপ করিয়া বায়রামজিকে অভিবাদনের অভিপ্রায়ে মস্তক ঈষৎ আন্দোলিত করিলেন ; বায়রামজি তৎক্ষণাৎ গাড়ী থামাইয়া সবিস্ময়ে আর একবার যুবতীকে দেখিয়া লইলেন। যে মূৰ্ত্তি তিনি দিবারাত্ৰি শয়নে স্বপনে ধ্যান করিতে ছিলেন, র্যাহার রূপের আলোকে তাহার অন্ধকার পূর্ণ মরু-হৃদয় আলোকিত ও উত্তপ্ত হইয়া উঠিয়াছিল, এ সেই মূৰ্ত্তি! আমিনাকে চিনিতে র্তাহার মুহূৰ্ত্তমাত্র বিলম্ব হইল না। তিনি দেখিলেন, তাহার হৃদয়ের আনন্দস্বরূপিনী, তাহার প্রথম যৌবনের আরাধ্যা দেবী, চাহার জীবনকাননের অমৃত বল্লরী, তাহার সংসার স্বপ্নের সার রত্ন, অপ্সরাতুল্য রূপবতী আমিনা আরও সুন্দরী—আরও মনমোহিনী হইয়া উঠিয়াছেন ! বায়রামজি পুলক-কম্পিত হৃদয়ে সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমিনা, তুমি এখানে ?” আমিন বলিলেন, “ই, কিছু দিন হইতে আমি এখানেই আছি ।