পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ 85も বায়রামজি পদব্রজে প্রায় পনর মিনিট পরে তাহার অট্টালিকার অন্দরের দ্বার-সন্নিধানে উপস্থিত হইলেন ; দেখিলেন চতুর্দিক নিম্ভন্ধ, অট্টালিকার দীপাবলী নিৰ্ব্বাপিত, দাসদাসীরা ছুটী পাইয়৷ বিবাহোৎসবে যোগ দানের জন্য চলিয়া গিয়াছে । বায়রামজি স্বারের অদূরে প্রাচীরে ভর দিয়া দাড়াইয়া নানা কথা চিন্তা করিতে লাগিলেন ; ইতিমধ্যে র্তাহার পকেটের ঘড়িতে টুং করিয়া শব্দ হইল, তিনি বুঝিলেন রাত্রি সাড়ে দশটা বাজিলী । সহসা অদূরে কাহার পদশব্দ হইল ! তিনি রুদ্ধ নিশ্বাসে শব্দ লক্ষ্য করিয়া দণ্ডায়মান রহিলেন ; কিন্তু নিবিড় অন্ধকারে কিছুই দেখিতে পাইলেন না ; তিনি বিস্ফারিত নেত্রে অদূরবর্তী রুদ্ধ স্বারের দিকে চাহিয়া রহিলেন। তাহার বোধ হইল, কে যেন অতি সাবধানে লঘুপদবিক্ষেপে সেই দ্বারের দিকে অগ্রসর হইতেছে । উদ্ধে দ্বিতলস্থ বাতায়ন অভিমুখে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বায়রামঞ্জি দেখিতে পাইলেন বারান্দায় একটি বাতি জ্বলিয়া উঠিল । সেই বাতির আলোকে তিনি কাহার ছায়া “দেখিতে পাইলেন ; এই কি এলিজার উপপতি ? বায়রামজির বুকের মধ্যে কঁাপিয়া উঠিল, ধমণীতে শোণিতের গতি দ্রুততর হইল ; চতুর্দিকের অন্ধকার যেন নরকানল রাশির ন্যায় তাহাকে দগ্ধ করিতে উদ্যত হইল । তিনি কম্পিত পদে ধীরে ধীরে আন্দরের স্বার-সন্নিকটে অগ্রসর হইলেন । ՀԵr