পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

388 নন্দনে নরক বায়রামজি বলিলেন, “একথা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছ, পুনঃপুনঃ বলিবার আবশ্বক দেখি না। আমি বুঝিতেছি, তুমি প্রাণতয়ে ভীত হইয়াছ ; যদি কাপুরুষ না হও, তাহা হইলে বাজে কথায় সময় নষ্ট না করিয়া অবিলম্বে অস্ত্র গ্রহণ কর ; নতুবা পদাঘাতে তোমাকে অস্ত্র গ্রহণে বাধ্য করিব।” এই কথা শুনিয়া সাপুরজি উত্তেজিত ভাবে তরবারি-হস্তে দণ্ডায়মান হইলেন, এবং বায়রামজির আক্রমণ ব্যর্থ করিবার জন্য অসি উষ্ঠত করিলেন। ভীষণ জিঘাংসায় বায়রামজির হৃদয় পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল, সাপুরজি অধিককাল তাহার আক্রমণ ব্যর্থ করিতে পারিলেন না ; প্রায় পাঁচ মিনিট যুদ্ধের পর বায়রামজির তরবারি সবেগে সাপুরজির স্কন্ধদেশে পতিত হইল, সাপুরজি সেই আক্রমণ প্রতিহত করিতে পারিলেন না, তাহার অৰ্দ্ধছিন্ন কণ্ঠদেশ হইতে রক্তধারা প্রবল বেগে উৎসারিত হইতে লাগিল, তিনি অবসন্নভাবে ভূপতিত হইলেন। সেই অবসরে বায়রামজি সবেগে তাহার বক্ষ্যে তরবারি বিদ্ধ করিলেন সঙ্গে সঙ্গে সাপুরজির মৃত্যু হইল। " সাপুরজির মৃত্যুর পর বায়রামমির সহসা যেন জ্ঞানের সঞ্চার হইল; প্রায় দশ মিনিটকাল তিনি স্তম্ভিত ভাবে সেই স্থানে দণ্ডায়মান হইয়া সাপুরজির মৃতদেহের দিকে চাহিয়া রহিলেন । এই হত্যারহস্ত ভেদ হইলে তাহার ফল কিরূপ ভয়ঙ্কর হইতে পারে, তাহা ভাবিয়া তিনি শিহরিয়া উঠিলেন । তিনি বুঝিলেন, আর ইতস্ততঃ করিবার সময় নাই, তিনি সাপুরজির মৃতদেহ দুই হস্তে জড়াইয়া ধরিয়া শূন্তে তুলিলেন, এবং তাহা গর্তে নিক্ষেপ করিয়া, মাটী দিয়া সেই গৰ্ত্ত পূর্ণ করিলেন ; পরে