পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ 8&Y উভয় হস্ত প্রসারিত করিয়া এলিজার আরও নিকটে অগ্রসর হইলেন, কম্পিত কণ্ঠে ডাকিলেন “এলিজা । এলিজা !” এবার এলিজ বিদ্যুদ্বেগে উঠিয় দাড়াইলেন, দুই হস্ত সরিয়া গিয়া কম্পিভ কণ্ঠে বলিলেন, “সরিয়া ষাও, তোমার রক্তসিক্ত হাত লইয়া আমাকে স্পর্শ করিও না, আর তুমি আমাকে ডাকিও না ।” বায়রামজি সবিস্ময়ে নিজের হাতের দিকে চাহিলেন, দেখিলেন, রক্তে ঠাহীর উভয় করতল রঞ্জিত । এলিজা দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “আমার সম্মুখ হইতে তুমি চলিয় যাও ; আমা দ্বারা তোমার বিপদের কোনও আশঙ্কা নাই, কিন্তু নরহস্তাকে জীবনে বিশ্বাস করিব না, তাহার অপরাধ কখনও মার্জন করিব না।” বায়রামজি বলিলেন, “আমি তোমার স্বামী তাহ বোধ হয় তুমি ভুলিয়া গিয়াছ ! যতদিন তুমি বাচিবে তোমাকে স্মৃতির দহন সহ করিতে হইবে, অমুতাপের অগ্নিতে তোমার সকল পাপ দগ্ধ হইবে ; আমি এখন চলিলাম ।” বায়রামজি এলিজার কক্ষ পরিত্যাগ করিয়া পাহারাওয়ালার নিকট হইতে ঘোড়া লইয়া সেই রাত্রেই দাদরে ফিরিয়া চলিলেন, সেখানে তাহার গৃহে যখন উপস্থিত হইলেন, তখন রাত্রি প্রায় তিনটা ; প্রভুভক্ত ভূত্য তখন পর্য্যস্ত জাগিয়া তাহার প্রতীক্ষা করিতেছিল ! বায়রামজি অশ্ব হইতে অবতরণ করিয়া ঈরাণীকে বলিলেন, “ঘোড়া রাখিয়া তুমি অবিলম্বে আমার শয়নকক্ষে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিবে, অত্যন্ত গুরুতর পরামর্শ আছে।” பாம்ாம்_: