পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ 86 & ملاييكد يدخة সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করিবেন ? ইহা অপেক্ষা অধিক লজ্জা, কলঙ্ক ও অপমানের বিষয় আর কি হইতে পারে ? বায়রামজি উন্মত্তের ন্যায় বলিয়া উঠিলেন, "না, তাহা কখনই হইবে না ; এলিজার গর্ভে পুল্ল হউক, কন্যা হউক তাহার প্রাণনষ্ট করিতে হুইবে ; আমি এ কলঙ্ক মস্তকে বহন করিতে পারিব মা,আমার বংশের পক্ষে এ অপমান অসহ্য ।" এই সময় মারোয়ানজি সাপুরঞ্জির আকস্মিক নিরুদ্দেশের কথা লইয়া বোম্বাইয়ের সন্ত্রাস্ত সমাজে মহা অtন্দোলন উপস্থিত হইল, চারিদিকে চাহার অসুসন্ধান চলিতে লাগিল ; এবং যদিও কয়েক সপ্তাহ পরে ঈরাণীর প্রেরিত পত্রবাহক সাপুরজির পর দুইখানি যপস্থান হইতে ডাকে পাঠাইলে তাহ সাপুরঞ্জির আর্থায়গণের হস্তগত হইয়াছিল, তথাপি সেই পরের উপর পুলিস ল। ঠাহার আত্মীয়ের নির্ভর করিতে পারিলেন না, নান। কারণে সপুরঞ্জির অকস্মাৎ বিদেশ-যাত্রা তাহাদের নিকট অবিশ্বাস্থ্য মনে হইল । যাহা হউক, কিছু দিনের মধ্যেই সাপুরজির নিরুদ্দেশের কাহিনী চাপা পড়িয়া গেল । বায়রামজি অপেক্ষাকৃত নিরুদ্বেগ হইলেন, বটে, কিন্তু দীর্যকাল ধরিয়া পুনঃ পুনঃ নূতন নূতন দুশ্চিন্তার কঠিন আঘাতে তাহার মন অত্যন্ত অরসন্ন ও ঔদাস্যপুর্ণ হইয়া উঠিল, যৌবনের উৎসাহ ও উদ্যম অস্তৰ্হিত হইল ; আমোদ প্রমোদে আর তাহার আগ্রহ রহিল না ; যৌবনে তিনি জরাগ্রস্ত হইলেন। কয়েক মাস পরে এলিজা প্রসবোম্মুখী হইলে, বায়রামজি এলিজার গর্ভজাত সন্তানকে নষ্ট করিলার সঙ্কল্প ত্যাগ করিয়া আর একটি নুতন