পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ 8&y© এই বালকের মৃত্যুর পর বায়রামজি ও এলিজা উভয়েই পরম্পরকে ক্ষমা করিয়াছিলেন, তাহাদের মন হইতে ক্রোধ ও বিরাগ প্রায় অন্তৰ্হিত হইয়াছিল। উভয়েই বুঝিয়াছিলেন, তাহাদের পাপের জন্য পরমেশ্বরের অভিসম্পাতেই তাহার এরূপ মনোবেদনা সহ্য করিতে বাধ্য হইয়াছেন । যাহা হউক, এই বালকের মৃত্যুর পর এজরা বংশ নিৰ্ব্বংশ হয় দেখিয়। বায়রামজি এলিজার গর্ভজাত সস্তানটিকে পুনৰ্ব্বার পুত্রবৎ প্রতিপালনের জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন ; কিন্তু সেই বালককে তখন খুজিয়া বাহির করা কঠিন হইল । অনুসন্ধানে জানিতে পার গেল, সেই বালক দ্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রম পর্য্যস্ত সেই অনাথ শ্রমেই ছিল, তাহার পর একদি• হঠাৎ সে কোথায় নিকদেশ হয় ; এ পর্য্যস্ত আর তাহার সন্ধান হইল ন। অনেক চেষ্টাতেও যখন সেই বালকের সন্ধান হইল না, তখন বায় রামজি বহুঅর্থ ব্যয়ে, শেষবার চেষ্টা করিবার জন্য কৃতসঙ্কল্প হইলেন, এবং পুলিশের সহায়ত গ্রহণ করিলেন ; কিন্তু কোনও ফল হইল না । অবশেষে বায়রামজি বোম্বাইয়ের সুবিখ্যাত ও সুচতুর গোয়েন্দাবাহাদুর সার হস্তে এই ভার সমর্পণ করিয়াছেন।” বাহাদুর সার নাম শুনিব মাত্র ডাক্তার লালুভাই চেয়ার হইতে লাফাইয়া উঠিলেন, যেন হঠাৎ তাহার পদে সপাঘাত করিয়াছে ! তিনি ভীত ভাবে বলিলেন, “বাহাদুর স৷ যদি এই ব্যপারের তদস্তের ভর গ্রহণ করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তোমরা আমাকে মুক্তি দান কর । আমি তোমাদের সঙ্গে আর কোনও সম্বন্ধ রাখিতে পারিব না ।” জেমসেটুজি সহাস্তে বলিলেন, “হঠাৎ তোমার এত ভয়ের কারণ কি ? আমি নিশ্চয় বলিতে পারি, বাহাদুর সা বায়রামজির সস্তানের