পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ R) জেমসেটুজি বলিলেন, "তা জানি, কিন্তু তাহাকে আর বিশ্বাস করিতে প্রবৃত্তি হয় না ; গুপ্ত পরামর্শের জন্য তাহাকে ডাকিতেও সাহস হয় না ।” Wh ডাক্তার লালুভাই সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিলেন, "একথা কেন বলিতেছ ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “আমরা তিনজনে গুপ্ত ব্যবসায়ে এ পর্য্যন্ত বড় কম টাকা উপার্জন করি নাই ; তুমি আমি যাহ উপার্জন করিয়াছি তাহা জলের মত ব্যয় করিয়া ফেলিয়াছি ; অর বামনজি লক্ষাধিক টাকা জমাইয়াছে ! হাতে টাকা জমিলেই পদে পদে ভয় ও সন্দেহ জন্মে। বামনজি আর আমাদের সঙ্গে কোনও দুঃসাহসের কাজে হস্তক্ষেপ করিতে চায় না, সে আমাদিগকে জীবিকার্জনের পথ পরিবর্তিত করিতে বলে, সাধু হইবার উপদেশ দেয় ! কিন্তু এখনও সে আমাদের উপার্জনের অংশ লইতে কুষ্ঠিত নয় ; অর্থলোভেই মধ্যে মধ্যে ঘামাদের সঙ্গে দেখা করিতে আসে। আমাদের অনেক বয়স হইয়াছে, পরিশ্রমের শক্তিও কমিতেছে ; এখন গণ্ডাকতক শিকার পাকড়াইতে না পারিলে বৃদ্ধ বয়সে অনাহারে মরিতে হইবে, সুতরাং এখন হইতেই ভবিষ্যতের জন্য একটা উপায় করিয়া রাখা আবশ্যক।” ডাক্তার লালুভাই বলিলেন, “এ তুমি ঠিক কথাই বলিয়াছ।" জেমসেটুজি বলিলেন, "এখন আমাদিগকে খুব হসিয়ার হইয়। কাজ করিতে হইবে ; দীর্ঘকাল চিস্তা করিয়া আমি এমন এক সুবিশাল দুর্ভেদ্য ষড়যন্ত্র জাল বিস্তার করিয়াছি যে, যদি তাহা কখনও সফল হয় তাহা হইলে অল্প দিনেই লক্ষপতি হইতে পারিব, দশ বিশ লক্ষ টাকা