পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&·,&» নন্দনে নরক منبع কোনও একটা উপায় স্থির করিতেই হইবে । আমি প্রেমজি ক আমার বাড়ী লইয়া যাইব, সেখানে একটি গুপ্ত কক্ষে তাহাকে শয়ন করিতে দিব ; সে নিদ্রিত হইলে আমি তাহার পিঠের কাপড় খুলিয়া যে স্থানে ক্ষত চিহ্ন থাকা আবশ্বক, সেই স্থানে একটি আরক মিশ্রিত ফ্ল্যানেল বাধিয়া দিব ; ইহাতে অল্পক্ষণের মধ্যেই সেই স্থানে একটা প্রকাণ্ড ফোস্ক উঠিবে, তাহার পর সেই স্থানে উপযুক্ত ঔষধ দিয়া পটি বাধিয়। দিলেই ক্ষত আরোগ্য হইবে, কিন্তু চিহ্নটি জন্মের মত থাকিয়া যাইবে ।” জেমসেটুজি বলিলেন, “কিন্তু কতদিনে এই ক্ষত আরাম হইবে ? সময় নিতান্ত সংক্ষিপ্ত হইয়া আসিয়াছে।” লালুভাই বলিলেন, “এ জন্য আমি দুইমাস মাত্র সময় লইব ; এই সময়ের মধ্যেই ক্ষত চিহ্নটি এরূপ আকার ধারণ করিবে যে, বায়রামজি দুরের কথা, কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসকও এই ক্ষতচিহ্ন নুতন বলিয়৷ ধরিতে পারিবে না । তোমরা উভয়েই বিবেচনা করিয়া দেখ আমি যে কাজ করিব, তাহ যেমন কঠিন, তেমনি অত্যাবস্তক ; লাভের সময় আমার বখর কম করিলে এ কার্য্যে আমি হস্তক্ষেপণ করিব না ; আমি যাহা করিব তাহা তোমাদের উভয়েরই অসাধ্য ।” জেমসেটুজি বলিলেন, “এ জন্য তুমি একথা বলিতেছ কেন ? আমাদের তিনজনের মধ্যে যিনি যতটুকু করিতেছেন, অন্যের তাহ অসাধ্য, এবং কাহারও কাৰ্য্যই উপেক্ষার ৰোগ্য নহে, সুতরাং আমাদের সকলের বখরাই সমান হইবে। সকল কথাই ত ঠিক হইল, আমি জানি বাররামজির বিশ্বাসী ভূত্য ঈরাণী এই শিশুটিকে স্থানান্তরিত