পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ 8心守 করিয়াছিল,সে যদি তাহার প্রভু-পুন্ত্রের অঙ্গে অন্য কোনও বিশেষত্ব লক্ষ্য করিয়া থাকে, তাহ হইলে ভবিষ্যতে তাহার চক্ষুতে কিরূপে ধূলা নিক্ষেপ করা যাইবে ?” বামনজি বলিলেন, “ঈরাণী এখন অত্যন্ত বৃদ্ধ হইয়াছে, তাহার স্মরণশক্তি আর তেমন তীক্ষ নাই ; বিশেষতঃ সদ্যজাত শিশুর অঙ্গে যদি অন্য কোন বিশেষত্ব পাকিত, এতকাল পরে তাহ নির্ণয় করা তাহার সাধ্য হইবে না । এ জন্য কোন চিস্ত নাই; কিন্তু ভয়ের কারণ কথা এই যে, প্রেমজিকে বায়রামজির পুত্ররূপে পরিচিত করিবার পর যদি কেহ তাহাকে চিনিতে পারে, তাহার অতীত জীবনকাহিনী কাহারও জানা থাকে, তাহা হইলে ভবিষ্যতে আমর। বিপন্ন হইতে পারি।" জেমসেটুজি বলিলেন, “সেজন্য ভয় নাই, প্রেমজির সঙ্গে এখানে একটি যুবতী আসিয়াছিল, তাহাকে এমন কৌশলে স্থানান্তরিত করা হইয়াছে যে, জীবনে প্রেমজির সহিত তাহার মিলনের সম্ভাবনা নাই ; এ বিষয়ে তুমি কাম সাহেবকে সৎপরামর্শ দিয়া আমাদের অভীষ্ট সিদ্ধির যথেষ্ট সহায়তা করিয়াছ । মধ্যে আমার একটু দুশ্চিগু। হইয়াছিল, কারণ প্রেমজির একটি মুরুব্বি জুটিয়াছিল ; সন্ধানে জানিতে পারিয়াছি, সার কাসে টজি মেটাই তাহার মুরুবি ; মেটা সাহেব জানিতেন, তিনি স্বহস্তে,দাদাচােনজির প্রাণবধ করিয়াছিলেন, তাই তিনি দয়া করিয়া প্রেমজির লালনপালন ও শিক্ষার ভার গ্রহপূ করেন, কিন্তু তিনি প্রেমজিকে কখন চক্ষে ও দেখেন নাই ।” ডাক্তার লালুভাই বলিলেন, “তাহ হইলে আমাদের নৌকা প্রায় তীরে আসিয়া লাগিয়াছে, আর কোনও ভয়ের কারণ নাই ?”