পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ 8°》 প্রেমজি বলিল, “বায়রামজি এজরার পুত্ৰ ৰাচিয়া আছে, আমি তাহাকে চিনি ৷” জেমসেটুজি বলিলেন, “তুমি বলিতেছ কি ? এমন অর্থহীন প্রলাপ কেন বকিতেছ ? তোমার কথার প্রমাণ কি ?” প্রেমজি বলিল, “আপনাদের গুপ্ত পরামর্শ শুনিয়া আমার মনে একটা বড় খটুকী বাধিয়াছে ; আমি একটি যুবককে চিনি, তাহার বয়স আমার বয়সের সমান ; সে পালঘাটের অনাথাশ্রমে শৈশবকালে প্রতিপালিত হইয়াছিল ; বার তের বৎসর বয়সের সময় সেখান হইতে সে পলায়ন করে ; আপনারা যেরূপ ক্ষত চিহ্লের কথা লইয়া আলোচনা করিতেছিলেন, তাহার দক্ষিণ স্কন্ধের নীচে আমি সেইরূপ একটি ক্ষত চিহ্ন দেখিয়াছি।” জেমসেটজির চক্ষু সহসা দীপ্তিহীন হইল, তিনি ব্যাকুল ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি ! সে কি করে, তাহার নাম কি ?” 疊 প্রেমজি বলিল,“সে চিত্রকরের কাজ করে, তাহার নাম নওরোজি ।” জেমসেটুজি ক্রোধে হুঙ্কার দিয়া উঠিলেন, গর্জন করিয়া বলিলেন, T"এই তিনবার, এই তৃতীয় বার সেই হতভাগা আমার সঙ্কল্প সিদ্ধির পথে বিঘ্ন উপস্থিত করিয়াছে ; এবার আর তাহার রক্ষা নাই। পথ হইতে কণ্টক দূর করিতে হইবে।” ডাক্তার সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি করিবে মনে করিয়াছ f" জেমসেটুজি সংযত স্বরে বলিলেন, “আমি কিছুই করিব না ; আমি