পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপযুক্ত পুত্র নওরোজির উপর জেমসেটুজির ক্রোধ অত্যন্ত প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল ; সহায় সম্পদহীন একজন চিত্রকর তাহার কায় মহাপরাক্রাস্ত ব্যক্তির দীর্ঘ কালের সঙ্কল্প ও চেষ্টা ব্যর্থ করিয়া দিবে, তাহা তিনি একবারও কল্পনা করেন নাই । তিনি মনে করিলেন, সামান্য একটি স্কুৎকারের যেমন দীপ নিৰ্ব্বাপিত হয় ; সেইরূপ এক ফুৎকারে এই যুবকের জীবন দীপ নিৰ্ব্বাপিত করিবেন । পক্ষাস্তরে নওরোজির মনে ও সন্দেহ প্রবল হইয়াছিল ; যে দিন তাহার হৃদয়ের আনন্দস্বরূপিনী বিশ্বস্তহৃদয় . প্রেমিক কর্ণেলিয়া তাহাকে পত্র লিখিয়া জানাইয়াছিলেন,এ জীবনে তাহার সহিত মিলনের আশা নাই, তিনি শীঘ্র অন্তকে বিবাহ করিতে বাধ্য হইবেন, সেই দিন নওরোজি বুঝিয়াছিলেন, তাহার জীবনের উদ্দেগু ব্যর্থ করিবার জন্ত তাহার বিরুদ্ধে গুপ্ত . যড়যন্ত্র চলিতেছে । তাহার পর যে দিন রাত্রে দস্তুর সাহেব তাহার গৃহে রমলা বাই ও নওরোজিকে লইয়। পরামর্শ করিতে বসেন, সে দিন তাহারা স্পষ্টই বুঝিয়াছিলেন, মেটা সাহেব ও র্তাহার পত্নীর বিরুদ্ধেও সেই ভীষণ ষড়যন্ত্ৰজাল প্রসারিত হইয়াছে ; কিন্তু পেষ্টনজি সাপুরজি ভিন্ন অন্ত কেহ যে এই ষড়যন্ত্রের নায়ক তাহা