পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԲՏ8 নন্দনে নরক মানজি কোম্পানী নামক জহরৎওয়ালাদের সদর অফিস আহম্মদাবাদে পাঠাইয়া-দিয়াছি ; বোধ হয় কিছু দিনের মধ্যেই সেই সকল হাওনোট বদলাইয়া টাকা আদায়ের জন্য, মাণিকজি ফ্রামজির আফিসে ফেরৎ আসিতে পারে। বাহিরে আমার একটু কাজ আছে, সে জন্য আর এখানে অপেক্ষা করিতে পারিতেছি না, অনুগ্রহ করিয়া ক্রটি মার্জন করিবেন।” আর সেখানে থাকিয়া কোন ফল নাই বুঝিয়া উভয়ে মতিওয়ালার দোকান ত্যাগ করিলেন ; পথে আসিয়া নওরোজি জাহাঙ্গীরজিকে বলিলেন, “আমার বোধ হইতেছে, আপনি শীঘ্রই অত্যন্ত বিপদে পড়ি- । বেন ; আপনাকে অবিলম্বে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতে হইবে।” স্থূলবুদ্ধি জাহাঙ্গীরজি জিজ্ঞাসা করিল, “কিরূপ বিপদ ?” নওরোজি বলিলেন, “এ সকল হাণ্ডনোট নিশ্চয়ই মাণিকজি ফ্রামজির হাতে পড়িয়াছে; আপনি তাহার নাম জাল করিয়াছেন, সে অনায়াসে আপনাকে জেলে পুরিবার ব্যবস্থা করিতে পারে ; আর যদি সে তাহ না-ও করে, তাহা হইলে সে নিশ্চয়ই আপনার কাছে লোক পাঠাইয়া বলিবে, “তুমি আমার নাম জাল করিয়াছ, যদি পাচ হাজার টাকা দিতে পার, তাহা হইলে তোমাকে ছাড়িয়া দিতে সৰ্ম্মত আছি, নতুবা তোমার কি হইবে বুঝিতেই পারিতেছ। ” এ কথা শুনিয়া জাহঙ্গীরজি অত্যন্ত চটিয়া বলিল,“যে আমার নিকট এ ভাবে ঘুস চাহিবে, তাহাকে আমি জুতাপেটা করিয়া বিদায় করিব ; তারপর সে আমার বাবার কাছে যাক, আমি বুড়ো বেটার কোনও তোয়াক্কা রাখ না ।”