পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫০১

স্বাবিংশ পরিচ্ছেদ ጸ፭ዓ তাহার অনুসরণ করিলেন । আদমজি অনেক পথ ঘুরিয়া অবশেষে জেমসেটুজির দাসাশ্রয়ে উপস্থিত হইল। নওরোজি বাড়ীট চিনিয়া রাখিলেন ; কিন্তু তৎক্ষণাৎ তিনি সে স্থান ত্যাগ করিলেন না, দুরে একটা গলির মোড়ে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন । প্রায় আধঘণ্টা পরে জেমসেটুঙ্গি, আদমজি ও ডাক্তার লালুম্ভাইয়ের সহিত দাসাশ্রয় হইতে বাহির হইয়া আসিল । নওরোজি সেই পল্লীর দুই একজন লোককে জিজ্ঞাসা করিয়া জেমসেটঞ্জি ও ডাক্তারের নাম জানিয়| লইলেন । নওরোজি এই তিন ব্যক্তির অমুসরণ করিবেন কি না, ভাবিতেছেন, এমন সময় তাহার পৃষ্ঠে কাহার হাত পড়িল ; তিনি সবিস্ময়ে মুখ ফিরাইয় দেখিতে পাইলেন, তাহার পরম বন্ধ স্তুর সাহেব মুখ টিপিয়া হাসিতেছেন ! নওরোজির বিস্ময় দূর হইবার পূর্বেই দস্তুর সাহেব বলিলেন, “আমি অাধ ঘণ্টা ধরিয়া তোমার অপেক্ষায় বসিয়াছিলাম ; তাহার পর ঘূরিতে ঘুরিতে ভাগ্যে এদিকে আসিয় পড়িয়াছি তাই দেখা হইল ; এখানে তুমি কি জন্য দাড়াইয়া আছ, সে কথা জিজ্ঞাস করিব না ; fকন্তু চল, এখান হইতে সরিয়া পড়া যাক ৷” উভয়ে কিছু দূর অগ্রসর হইলে, দস্তুর সাহেব বলিলেন, “পেইনঞ্জি সাপুরজি সম্বন্ধে অনেক খবর পাইয়াছি ; তাহার মত নরাধম পৃথিবীতে অল্পই জাছে । সে কর্ণেলিয়াকে বিবাহ করিবার জন্য, একটা রীতিমত দল’ৰ্বাধিয়াছে ; তবে সৌভাগ্যের কথা এই যে, সে তোমাকে চেনে না; চিনিলে তোমার গলায় ছুরী দিতেও সে কুষ্ঠিত হইত না ।” ૧૦૨