পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ (*)— হীরাজির দৌত্য আমিনা বাই যে দিন ডাক্তার লালুভায়ের নিকট শুনিতে পাইলেন, তাহার গুপ্ত প্রেমলিপি গুলি তাহার লোহার সিন্ধুক হইতে অদৃশ্ব হইয়াছে, সে দিন তিনি র্তাহার সিন্ধুক ওলট-পালট করিয়াও পত্রের বাণ্ডিল না পাওয়াতে কিরূপ ভীত হইয়াছিলেন, তাহ পাঠকগণের অজ্ঞাত নহে ; তিনি অত্যন্ত ভীত হইলেও, তাহার স্বামীকে কোন কথা বলিতে সাহস করিলেন না ; অনেক চিন্তার পর কিংকৰ্ত্তব্য জিজ্ঞাসা করিয়া বায়রামজিকে একখানি পত্র লিখিলেন ; বায়লমজি কোন উত্তর লিখিলেন না। আমিনা সহজে ছাড়িবার পাত্রী ছিলেন না, তিনি ক্রমাগত তিনখানি পত্র লিখিলেন। শেষ পত্রের উত্তরে বায়রামজি লিখিলেন, “যে অস্ত্র তুমি আমার বক্ষে নিক্ষেপ করিবার জন্য সযত্নে লুকাইয়া রাখিয়াছিলে, তাহ তোমার বক্ষে উদ্যত হইয়াছে দেখিয়া আজ আমার শরণাপন্ন হইয়াছ! আমার প্রতি তুমি যেরূপ ব্যবহার করিয়াছ, মানুষে মামুষের প্রতি সেরূপ ব্যবহার করে না ; তুমি মহা পাপিষ্ঠ, তোমার পাপ আমার অপেক্ষাও অধিক । পরমেশ্বর তোমার পাপের উপযুক্ত দণ্ড দিবেন ; আমার নিকট আৰ্ত্তনাদ করিয়৷ কোনও ফল बांझे ॥”