পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ-পরিচ্ছেদ **o বিন্দু মাত্রও আপত্তি করিব না। জস্তর সাহেবের সহিত আমার বিবাহ ন হইলে, আমি যে অমুখী হইব, এরূপ মনে করিবেন না ।" মেটা সাহেব কর্ণেলিয়ার মুখে এই সকল কথা শুনিয়া কিছু মাত্র বিক্ষয় প্রকাশ করিলেন মা ; কর্ণেলিয়ার বিবাহ সম্বন্ধে তিনি কি স্থির করিয়াছেন তাহা ও বলিলেন না।—এইভাবে কিছুদিন কাটিয়া গেল, ডাক্তার লালুভাই আর একদিনও আমিনার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন না; জেমসেটুজি ও দ্বিতীয়বার মেটা সাহেবের নিকট উপস্থিত হইলেন না। ইহাতে স্বামী স্ত্রী উভয়েই অত্যন্ত চিস্তিত হইলেন । কিন্তু ডাক্তার লালুভাই বা জেমসেটুজি তাহাদের সহিত সাক্ষ{ং করিতে আসিলেন না, তাহার বিশেষ কারণ ছিল, তখন তাহার। বিষয়াস্তরে ব্যস্ত ছিলেন । জেমসেটুজি, প্রেমঞ্জিকে বায়রামজি এজরার পুত্ররূপে পরিচিত করিবার জন্ম নানা আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন । জেমসেটুজির এই ষড়যন্ত্র অনেক দূর অগ্রসর হইলে, একদিন জেমসেটুজির দুত হীরাজি, তাহার চির-অভ্যস্ত অপরিচ্ছন্ন, জীর্ণ, মলিন বেশে সজ্জিত হইয়া মেটা সাহেবের দেউড়ীতে উপস্থিত হইবা । সে তাহার পকেট হইতে জেমসেটুঞ্জির নামের একখানি কাড বাহির করিয়া তাহ দ্বারবানের হস্তে প্রদান করিয়া বলিল, “এই কাণ্ড খানি তোমাদের সাহেবকে দাও, না দিলে তাহার বিশেষ ক্ষতি হইবে।” স্বfরবান কার্ডখানি একজন ভূত্যের হাত দিয়া তাহ মেটা সাহেবের নিকট লইয়া যাইতে বলিল । মেট সাহেব কার্ডখানি দেখিবামাত্র শিহরিয়া উঠিলেন, তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল; তিনি কৃত্যকে বলিলেন,"দেউড়ীতে যে লোকট।