পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫২

8や নন্দনে নরক সাহায্যে এই যুবতীকে ভয়ঙ্কর কুরূপা করিতে পারা যায়, মনে কর যদি কোন উপায়ে উহাকে বসন্ত রোগে আক্রান্ত করিতে পার, তাহ হইলে ত উহার রূপ নষ্ট হইতে পারে।” ডাক্তার লালুভাই বলিলেন, “ঔষধ প্রয়োগে উহার রূপ ধ্বংস করিয়া কি ফললাভ হইবে ? উহার মন যাহাতে প্রেমজির প্রতি বিমুখ হয় তাহার কোনও উপায় করিতে পার ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “তাহার উপায় পূৰ্ব্ব হইতেই করিয়া রাখিয়াছি ; তুমি বোধ হয় জাহাঙ্গীরজি কামাকে জান,ছোড়াট। এই বয়সেই গোল্লায় গিয়াছে ! আমার ষড়যন্ত্রে এমিলি অতি সহজেই তাহার হস্তগত হইবে, এমিলি প্রেমজিকে ভুলিবে, সে জন্য কোনও চিন্তা নাই। পেষ্টনজি সাপুরজিও আমাদের স্বার্থসিদ্ধির সহায়তা করিবে, তবে তাহার একটা আব্দার আমাদিগকে পূর্ণ করিতে হইবে।” ডাক্তার লালুভাই জিজ্ঞাস করিলেন, “কি আব্দার ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “ধনকুবের সার কাসে টজি মেটার কন্য। কর্ণেলিযার সহিত তাহার বিবাহ দিতে হইবে।” ডাক্তার লালুভাই সবিস্ময়ে বলিলেন, "পেষ্টনজিকে আমি জানি ; সে ভয়ঙ্কর বখা, বদমাইস, মূর্খ ও লম্পট ; সে আকণ্ঠ ঋণজালে জড়িত। তাহার মত একটা অপদার্থের সহিত ধনকুবের সার কাসে টজি মেটার পরীর মত রূপবতী ও গুণবতী বিদুষী কন্যা কর্ণেলিয়ার বিবাহ ! ক্ষেপিয়াছ নাকি ?” জেমসেইজি বলিলেন, “না সম্পূর্ণ প্রকৃতিস্থ আছি, চেষ্টার অসাধ্য কৰ্ম্ম নাই। আমি জানি কর্ণেলিয়ার সহিত মহা ধনাঢ্য সদাগর