পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৭০

&\\9 নন্দনে নক্লক সাফল্যের কনক মন্দিরে লইয়া যান, তাহ পূৰ্ব্বে কে বুঝিতে পারে ? র্তাহার অনুগ্রহেই আমাদের আশা পূর্ণ হইল।” * , শাহারাদির পর, সেই দিন রাত্রি নয় ঘটিকার সময় নওরোজিকে সঙ্গে লইয়া বাহাদুর সা র্তাহার নিজের বাসায় ফিরিয়া আসিলেন । র্তাহার আগমনের পাঁচ মিনিট পরে বায়রামজি এজরা তঁহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন ; বাহাদুর সা অধিক ভূমিকা না করিয়া পুত্রকে পিতার নিকট পরিচিত করিলেন ; কিন্তু নওরোজি, তেমন ঘনিষ্ঠ ভাবে পিতার সহিত আলাপ করিলেন না ; তেইশ বৎসরের ব্যবধান এক মুহূর্তে বিলুপ্ত হইল না। T Η বায়রামজি বলিলেন, “বৎস, আমি তোমার পিতা ; আমি কেন তোমাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলাম, এবং কেনই বা তোমাকে পুনৰ্ব্বার লাভ করিবার জন্য সৰ্ব্বস্ব পণ করিয়া ছিলাম, সে সকল কাহিনী তোমার প্রীতিকর হইবে না ; তাহ জানিবার জন্যও তুমি কখনও উৎসুক বইও না। আমি আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিয়াছি ; আমার বয়স খুব: অধিক হয় নাই, আমি এখনও প্রৌঢ়ত্বের সীম৷ অতিক্রম করি নাই, কিন্তু তথাপি দেখ, আমার দেহ জরাজীর্ণ হইয়াছে, আমার মস্তকের একটি কেশও কৃষ্ণ নাই ! অহনিশি সুতীব্ৰ অম্বুশোচনানলে দগ্ধ হওয়া অপেক্ষ পাপের কঠোরতর প্রায়শ্চিত্ত আৰু কি হইতে পারে?” । নওরোজি বলিলেন, “এখন এ সকল অপ্রীতিকর প্রসঙ্গের আলোচনা মা করাই ভাল ; আপনার জীবনের কোনও গুপ্ত রহস্ত জানিবার জন্ম আমি কিছুমাত্র উৎসুক নহি, তাহ আমার কর্তব্যও নহে ; আমি জাপনার পুর, যদি আপনি এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ প্রমাণ, পাইয়া থাকেন,