পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tR নন্দনে নরক পারিতেছি না ; পূর্বে যে সকল লোক তোমার মনিবের কাছে চাকরী করিয়াছে, তাহাদের অনেকের মুখে শুনিয়াছি মেটা সাহেব বড় ভদ্রলোক, চাকরদের প্রতি র্তাহার খুব দয়া, কখনও তাহার মুখে উচু কথা শুনা যায় না ; কিন্তু তুমি এমন উন্টা কথা বলিতেছ কেন ?" বেজানজি বলিল, “তবে বুঝি আমার ভাগ্যের দোষ ! আমি ত দেখিতেছি, লোকটা যেমন রাগী তেমনি চঞ্চল, তাহার উপর সকল বিষয়েই সন্দেহ ; টাকাকড়ি, চিঠিপত্র,এমনকি,চুরুটটি পর্য্যন্ত চাবির ভিতর! ডেক্স বাক্স বন্ধ করিতেই তাহার দিবসের অৰ্দ্ধেক সময় কাটিয়া যায়।” জেমসেটুজি বলিলেন, “সকল বিষয়েই যাহার এত সন্দেহ, তাহার কাছে চাকরী করা বক্ৰমারী বটে !” বেজানজি উৎসাহভরে বলিল, “কেবল যদি সন্দেহ হইত তাহ হইলেও বাচিতাম, এমন ভয়ঙ্কর রাগ কখনও দেখি নাই ; অকারণে রাগ, দিনে দশবার চাকরদের মারিতে যান : সম্মুখে যাইতে ভয় হয় ।” জেমসেটুজি জিজ্ঞাসা করিলেন, “সকল সময়েই কি মেজাজ এমন রূক্ষ থাকে ?” বেজানজি বলিল, “চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ঘুমের সময়টুকু ছাড়া তাহার মেজাজ কখনও ঠাণ্ড দেখি নাই ! মদ খাইলে বা জুয়ায় হারিয়া আসিলে তাহার মেজাজ আরও ভয়ঙ্কর গরম হইয় উঠে। রাত্রি তিনটার পূৰ্ব্বে কোনও দিন তাহাকে বাড়ী ফিরিতে দেখিলাম না।” জেমসেটুজি জিজ্ঞাসা করিলেন, "তোমার মনিব-পত্নীটি কিরূপ লোক ?” বেজানজি বলিল, “যেমন কর্তা তেমনি গিল্পী ! তবে তফাতের মধ্যে