পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ ©© তিনি বড় একটা কামড়াইতে আসেন না, তাহার সে অবসরও নাই ; সাজ পোষাক লইয়াই তিনি ব্যস্ত। কর্তা গিন্নিতে প্রায় দেখা-সাক্ষাৎ হয় না ; দরকার মত টাকা পাইলেই গিন্নি খুলী, স্বষ্টি সংসার চুলোয় যাউক, সেদিকে দৃষ্টি নাই।” জেমসেটুজি বলিলেন, “টাকার ত কোন অভাব নাই, সার কাসে টজি মেটার অফুরন্ত ভাণ্ডার ।” বেজানজি বলিল, “কিন্তু সে ভাণ্ডারেও সময় সময় পয়সা থাকে না ; দরকার মত টাকা না পাইলে, গিল্পীর মাথায় যেন বজ্রাঘাত হয় ! টাক ন হইলে এক মিনিট চলিবার যে নাই, কাজেই আত্মীয় বন্ধুর নিকট টাকার জন্য লোক পাঠাইতে হয়।” জেমসেটুজি বলিলেন, "এতবড় ঘরের বেী, পরের কাছে টাকা ধার চাহিতে র্তার লজ্জা হয় না ?” বেজানজি জিহবা ও কণ্ঠতালুর সংস্পর্শে একরূপ শব্দ করিয়া মাথ৷ নাড়িয়া বলিল,“লজ্জ আবার তাহার আছে । যখন বেশী টাকার দরকার হয়, তখন তিনি বায়রামজি এজরার কাছে টাকার জন্য লোক পাঠান। লোক পাঠাইলেই টাকা ! এজরা সাহেবের কাছে লোক পাঠাইলে তাহাকে খালি হাতে ফিরিয়া আসিতে হয় না ; আমার মনিবের অপেক্ষ তাহার টাক৮ অনেক বেশী।” জেমসেটজি ক্ষণকাল চিস্ত করিয়া বলিলেন, "খ বাহাদুর বায়রামজি এজরাকে টাকার জন্য তোমার মনিব-পত্নী যে সকল পত্র লেখেন, তাহা তোমার গোপনে খুলিয়া পড়িতে ইচ্ছা হয় না ? সে সকল পত্র বুঝি তোমার হাতে পড়ে না ?”