পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাসে টুজি ও দাদাচানজি কিছু দূর অগ্রসর হইয়াছিল। দূর হইতে শুনিতে পাইলাম কাসে টজি খুব রাগিয়া তাহার সেক্রেটারীকে গালাগালি করিতেছে! ব্যাপার কি জানিবার জন্য আমি একটু অগ্রসর হইয়। শুনিতে পাইলাম কাসে টজি তাহার সেক্রেটারীকে বলিতেছে, এই দুশ্চরিত্রা স্ত্রীলোকটার সংস্রব ত্যাগ না করিলে তোমার মঙ্গল নাই।” এই কথার উত্তরে দাদাচানজি বলিল, “আপনি যাহার চরিত্রে এরূপ দোষারোপ করিতেছেন, তাহার চরিত্র যে আপনার স্ত্রীর চরিত্র অপেক্ষা মন্দ এরূপ মনে করিবেন না।’ "দাদাচানজি এই কথা বলিবামাত্র কাসে টজি বন্দুক তুলিয়া দাদাচানজির বুকে গুলি করিল! দাদাচানজি তৎক্ষণাৎ মাটীতে পড়িয়া গেল –আমি দ্রুতপদে তাহার নিকটে গিয়া দেখিলাম, গুলি বুকে বিদ্ধ হইয়াছে, দেহ রক্তস্রোত ভাসিতেছে ; দেহে প্রাণের চিতুমাত্র নাই। এই দৃপ্ত দেখিয়া ভয় ও উদ্বেগে আমার সংজ্ঞালোপের উপক্রম হইল! কিন্তু দেখিলাম, কাসে টজির অবস্থা আরও শোচনীয় ; সে বক্ষে করাঘাত করিয়া ব্যাকুল ভাবে বিলাপ করিতে লাগিল। ক্রোধের উত্তেজনার পর দারুণ অবসাদ আসিয় তাহার হৃদয় অধিকার করিল। সে দাদাচানজির বুকের উপর ঝুকিয়া পড়িয়া ব্যাকুলভাবে তাহার চৈতন্য সম্পাদনের চেষ্টা করিতে লাগিল ; কিন্তু বৃথা আশ । আমাদের মধ্যে কেবল শঙ্করই তখন প্রকৃতিস্থ ছিল ; সে বলিল, “যাহা হইবার তাহ হইয়া গিয়াছে, ইহা যে হুজুরের ইচ্ছাকৃত অপরাধ, তাহ কেহই জানিতে পারিবে না ; যদি কোনও ফ্যাসাদ উপস্থিত হয়, তাহ। হইলে আমরা বলিব, হুজুর শিকার লক্ষ্য করিয়া গুলি ছুড়িয়াছিলেন,