পাতা:নবজাতক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৯৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নবজাতক

বুকের মধ্যে জাগায় নাচন কণ্ঠে লাগায় সুর
সকল অঙ্গ অকারণে উৎসাহে ভরপুর।
রক্তে যখন ফুরোবে ওর খেলার নেশা খোঁজা
তখনি কাজ অচল হবে বয়স হবে বোঝা।

ওগো তুমি কী করছ ভাই স্তব্ধ সারাক্ষণ,
বুদ্ধি তোমার আড়ষ্ট যে ঝিমিয়ে-পড়া মন।
নবীন বয়স যেই পেরোলো খেলাঘরের দ্বারে,
মরচে-পড়া লাগল তালা বন্ধ একেবারে।
ভালোমন্দ বিচারগুলো খোঁটায় যেন পোঁতা।
আপন মনের তলায় তুমি তলিয়ে গেলে কোথা।
চলার পথে আগল দিয়ে বসে আছ স্থির,
বাইরে এসো বাইরে এসো পরম গম্ভীর।
কেবলি কি প্রবীণ তুমি, নবীন নও কি তাও।
দিনে দিনে ছিছি কেবল বুড়ো হয়েই যাও।
আশি বছর বয়স হবে ওই যে পিপুল গাছ
এ আশ্বিনের রোদ্দুরে ওর দেখলে বিপুল নাচ?
পাতায় পাতায় আবোল তাবোল শাখায় দোলাদুলি
পান্থ হাওয়ার সঙ্গে ও চায় করতে কোলাকুলি।
ওগো প্রবীণ চলো এবার সকল কাজের শেষে
নবীন হাসি মুখে নিয়ে চরম খেলার বেশে॥


৮৭