छिन দিন-কয়েক পরে একদিন দুপুরবেলা বাটীর দরজায় আসিয়া একখানা মোটর থামিল, এবং মিনিট-দুই পরেই একটি বাইশ-তেইশ বছরের মহিলা প্ৰবেশ করিয়া বসিবার ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। মেজের কার্পেটে বসিয়া সোমেনুষ্ঠুরু একখানা মস্ত বঁধানো এ্যালবাম হইতে তাহার নূতন-মাকে ছবি দেখাইতেছিল। সেই মহা আনন্দে পরিচয় করাইয়া দিয়া বলিল, মা, পিসীমা । উষা উঠিয়া দাড়াইল । পরনে নিতান্ত সাদাসিধা একখানি রাঙা-পেড়ে শাড়ি, হাতে এবং গলায় সামান্য দুই-একখানি গহনা,- কিন্তু তাহার রূপ দেখিয়া বিভা অবাক হইল। প্ৰথমে উষাই কথা কহিল। একটু হাসিয়া ছেলেকে বলিল, পিসীমাকে প্ৰণাম করলে না। বাবা ? সোমেনের এ শিক্ষা বোধ করি নূতন ; সে তাড়াতাড়ি হেঁট হইয়া পিসীমার পায়ের বুট ছুইয়া কোনমতে কাজ সারিল। উষা কহিল, দাড়িয়ে রইলে ঠাকুরবি, ব’সো ? বিভা জিজ্ঞাসা করিল, আপনি কবে এলেন ? উষা বলিল, সোমবারে এসেচি, আজ বুধবার-তা হ’লে তিন দিন হ’ল । কিন্তু দাড়িয়ে থাকলে হবে কেন ভাই-ব’সে । বিভা ভাব করিতে আসে নাই, বাড়ী হইতেই মনটাকে সে তিক্ত করিয়া আসিয়াছিল ; কহিল, বসবার সময় নেই আমার-ঢের BZS S S BDDBDB D DD MBDS কিন্তু এই রুক্ষতার জবাব উষা হাসিমুখে দিল। কহিল, আমি একলা কি করে থাকবো ভাই ? সেখানে বৌয়েদের সব ছেলেপুলেই আমার হাতে মানুষ। কেউ একজন কাছে না থাকলে তা আমি বঁচিনে ঠাকুরবি -এই বলিয়া সে পুনরায় হাসিল ।
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।