পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदक्षिांन Te শৈলেশ কহিল, বিজ্ঞার ওখানে ও যেতে চায় না, সে দেখচি তুমি টের পেয়েচ। তোমাকে দেখেই কতকটা আন্দাজ করচি, এই বলিয়া সে হাসিমুখে ছেলেকে লইয়া উপরে চলিয়া গেল। সুনাহার সারিয়া শ্যামবাজাব হইতে বাড়ী ফিরিতে শৈলেশেব বেল প্ৰায় আড়াইট হইয়া গেল । বিভা, ভগিনীপতি ক্ষেত্রমোহন এবং তঁহার সতের-আঠার বছবের একটি অনুঢ়া ভগিনীও সঙ্গে আসিল । বিভাকে সঙ্গে আনিবাব ইচ্ছা শৈলেশের ছিল না। সে নিজে ইচ্ছা করিষাই আসিল । উষার বিরুদ্ধে তাহার অভিযোগ বহুবিধ। কেবলমাত্র দাদাকেই বঁকা-বাক কথা শুনাইয়া তাহার কিছুমাত্র তৃপ্তিবোধ হয় নাই ; এখানে উপস্থিত হইয়া এতগুলি লোকের সমক্ষে নানাপ্ৰকাব তর্ক-বিতর্কের মধ্যে ফেলিয়া পল্লীগ্রামেব কুশিক্ষিত ভ্ৰাতৃবধুকে সে একেবাবে অপদস্থ করিয়া দিবে, এই ছিল তাহার অভিসন্ধি । দাদার সহিত আজি দেখা হওয়া পৰ্যন্ত সে অনেক অপ্ৰিয় কঠিন অনুযোগের সহিত এই কথাটাই বারংবাব সপ্ৰমাণ করিতে চাহিয়াছে যে, এতকাল পরে এই স্ত্রীলোকটিকে আবার ঘরে ডাকিয়া আনায় শুধু যে মারাত্মক ভুল হইয়াছে তাহাই নয়, তাহাদেব স্বৰ্গগত পিতৃদেবেব স্মৃতিব প্ৰতিও প্ৰকারান্তরে অবমাননা করা হইয়াছে । তিনি যাহাকে ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন, তাহাকে পুনরায় গ্ৰহণ করা কিসেব জন্য ? সমাজের কাছে, বন্ধু-বান্ধবের কাছে যাহাকে আত্মীয় বলিয়া পরিচিত করা যাইবে না, কোথাও কোন সামাজিক ক্রিয়া কৰ্ম্মে সঙ্গে করিয়া লইয়া যাওয়া যাহাকে চলিবে না, এমনকি বড় ভাইয়ের স্ত্রী বলিয়া সম্বোধন করিতেই যাহাকে লজাবোধ হইবে, তাহাকে লইয়া লোকের কাছে সে মুখ দেখাইবে কি করিয়া ? অপরিচিত উষার পক্ষ লইয়া ক্ষেত্ৰমোহন দুই-একটা কথা বলিবার চেষ্টা করিতেই, স্ত্রীর কাছে ধমক খাইয়াৰ চুপ করিলেন ।