পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नक्षिां Ve তাহা পালন করিয়াছেন । দেখিয়া তাহার গা জ্বলিয়া গেল, কহিল, গুরুজনের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা তোমার অসাধারণ । সে ভালই, কিন্তু তার বাড়াবাড়িটা ভাল নয়। গুরুজনের এটা শোবার ঘর না হয়ে ঠাকুরঘর হলে আজ হয়ত তুমি একেবারে গোবর খেয়ে পবিত্র হয়ে ঢুকতে । স্ত্রীর রাগ দেখিয়া ক্ষেত্ৰমোহন হাসিতে লাগিলেন, বলিলেন, গোবরের প্রতি রুচি নেই, ওটা বৌঠাকরুণের খাতিরে মুখে তুলতে পারতুম না, কিন্তু ঠাকুর-দেবতার সঙ্গে যখন কোন সুবাদই রাখিনে, তখন অকারণে র্তাদের ঘরে ঢুকেও উৎপাত করতুম না। আচ্ছা, বৌঠাকরুণ, এ-ঘবে ত আগেও বহুবার এসেচি, মনে হচ্ছে যেন একটা ভাল কার্পেট পাতা ছিল, সেটা তুলে দিলেন কেন ? উষা কহিল, ধোয়া-মোছা যায় না, বড় নোঙরা হয় । শোবার 穹颈一 বিভা বিদ্রুপের ভঙ্গিতে প্রশ্ন করিল, কার্পেট পাতা থাকলে ঘর 6नi७द्धों श्व ? উষা তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া ধীরে ধীরে কহিল, হয়। বইকি ভাই। চোখে দেখা যায় না। সত্যি, কিন্তু নীচে তার ঢের ধূলোবালি চাপা পড়ে থাকে। বিভা বোধ করি। ইহার প্রতিবাদ করিতে যাইতেছিল, কিন্তু স্বামীর প্রবলকণ্ঠে অকস্মাৎ তাহ রুদ্ধ হইয়া গেল। তিনি অত্যন্ত উৎসাহের সহিত বলিয়া উঠিলেন, ব্যস ব্যস, বৌঠাকরুণ, নোঙর চাপা পড়লেই আমাদের কাজ চলে যায়--তার বেশি আমরা চাইনে। এ জিনিষটা চোখের আড়ালে থাকলেই আমরা খুন্সী হয়ে থাকি । কি বল শৈলেশ, ঠিক না ? শৈলেশ কথা কহিল না । বিভিার ক্রোধের অবধি রহিল না ; কিন্তু সেই ক্ৰোধ সম্বরণ করিয়া, সে তর্ক না করিয়া মৌন হুইয়া রহিল। তাহদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সত্যকার স্নেহ ও শ্ৰীতির হয়ত