পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भयदिक्षांभ 8 R নিমকি, কচুরি প্রভৃতি • তাহার স্বহস্তে-রচিত খাদ্যদ্রব্য সকালে চায়ের সঙ্গে আসিত, সে নিজে উপস্থিত থাকিত, কিন্তু আজ তাহার কোনটাই নাই দেখিয়া তাহার আহারে প্রবৃত্তি রহিল না । শুধু এক পেয়ালা চা কোৎলি হইতে নিজে ঢালিয়া লইয়া খানসামাকে ডাকিয়া সমস্ত বিদায় করিয়া দিয়া শৈলেশ পর্দার বাহিবে একটা অত্যন্ত পরিচিত পদধ্বনির আশায় কান খাড়া করিয়া রাখিল, এবং না-খাওয়ার কৈফিয়ৎ যে একটু কড়া করিয়াই দিবে, এই মনে করিয়া সে ধীরে ধীরে অযথা দেরী করিয়া পেয়ালা যখন শেষ করিল, তখন চা ঠাণ্ডা এবং বিস্বাদ হইয়া গেছে ; ফিরিয়া আসিয়া লোকটা শূন্য পেয়ালা তুলিয়া লইয়া গেল, কিন্তু আকাক্তিক্ষত পায়েব শব্দ আর শোনা গেল না, উষা এ-ঘরে প্রবেশ করিল না । ক্ৰমে বেলা হইয়া উঠিল, স্নানাহার সারিয়া কলেজেব জন্য প্ৰস্তুত হইতে হইবে । খাবার সময় আজও উষা অন্যান্য দিনের মত কাছে আসিয়া বসিল ; তাহার আগ্রহ, যত্ন বা কথাবাৰ্ত্তার মধ্যে কোন প্ৰভেদ বাড়ীর কাহারও কাছে ধরা পড়িল না, পড়িল শুধু শৈলেশের কাছে। একটা রাত্রির মধ্যে একটা লোক যে বিনা চেষ্টায়, বিনা আড়ম্বরে কত দূরে সরিয়া যাইতে পারে, ইহাই উপলব্ধি করিয়া সে একেবারে স্তব্ধ হইয়া রহিল। কলেজ যাইবার পোষাক পরিতে এ-ঘরে ঢুকিয়া এখন প্ৰথমেই তাহার চােখে পড়িল টেবিলের উপবে সংসার-খরচের সেই ছোট্ট খাতাটি । হয়ত কাল হইতেই এমনি পড়িয়া আছে, সে লক্ষ্য করে নাই-না হইলে তাহারই • জন্য উষা, এইমাত্র রাখিয়া গেছে তাহা সম্ভবও নয়, সত্যও নয়। আজও তা মাস শেষ হয় নাই-অকস্মাৎ এখানে ইহার প্ৰয়োজন হইলই বা কিসে ? তথাপি গলার টাই-বাধা তাহার অসমাপ্ত হইয়া রহিল, কতক কৌতুহলে, কতক অন্যমস্কতাবশে একটি একটি করিয়া উল্টাইয়া একেবারে শেষ পাতায় আসিয়া থামিল । পাতায় পাতায় একই কথা-সেই মাছ, শাক, আলু, পটল, চালের