8) नदर्थिांन হোক, পরাস্ত হোক, ক্ষেত্রমোহনবাবু, আমাকে আপনি ক্ষমা করুন-এই বলিয়া উষা দুই হাত যুক্ত করিয়া এতক্ষণ পরে ক্ষেত্ৰমোহনের মুখের প্রতি চোখ তুলিয়া চাহিল। সেই দৃষ্টির সম্মুখে ক্ষেত্ৰমোহন নির্বাক হইয়া চাহিয়া রহিল। दicां স্ত্রীর সহিত বাক্যালাপ শৈলেশ বন্ধ করিল, কিন্তু উষা করিল না । তাহার আচরণে লেশমাত্র পরিবর্তন নাই-সাংসারিক যাবতীয় কাজ-কৰ্ম্ম ঠিক তেমনিই সে করিয়া যাইতেছে। মুখ ফুটিয়া শৈলেশ কিছুই জিজ্ঞাসা করিতে পারে না, অথচ সবচেয়ে মুস্কিল হইল তাহার এই কথা ভাবিয়া, এ-গৃহ যে লোক চিরদিনের মত ত্যাগ করিয়া যাইতেছে, সেই গৃহেব প্রতি তাহার এতখানি মমতাবোধ রহিল কি করিয়া ? আজ সকালেই তাহার কানে গিয়াছে, দেয়ালের গায়ে হাত মুছিবার অপরাধে উষা নুতন ভূত্যটাকে তিবস্কার করিতেছে। অভ্যাসমত কাজে ভুল-ভ্ৰান্তি তাহার না-ই যদি-বা হয়, কিন্তু সৰ্ব্বত্রই তাহার সতর্ক-দৃষ্টিতে এতটুকু শিথিলতাও যে শৈলেশের চোখে পড়ে না । উষাকে ভাল করিয়া জানিবার তাহার সময় হয় নাই, তাহাকে সে সামান্তই জানিয়াছে, কিন্তু সেইটুকু জানার মধ্যেই এটুকু জানা তাহার হইয়া গেছে যে, যাইবার সঙ্কল্প তাহার বিচলিত হইবে না। অথচ সাধারণ মানব-চরিত্রের যতটুকু অভিজ্ঞতা। এ-বয়সে তাহার সঞ্চিত হইয়াছে, তাহার সহিত প্রকাও গরমিল যেন এক চক্ষে হাসি ও অপর চক্ষে অশ্রুপাত করিয়া তাহার মনটাকে লইয়া অবিশ্ৰাম নাগর-দোলায় পাক খাওয়াইয়া মারিতেছে। ক্ষেত্ৰমোহন আসিয়া একেবারে সোজা রান্নাঘরের দরজায় গিয়া দেখা দিলেন, কহিলেন, প্ৰসাদ পাবার আর বিলম্ব কত বৌঠাকরুশ ?
- னe