পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदेिशांन আশা দিয়া গেলেন যে, কেস যতটা হোপলেস মনে হইতেছে, বস্তুতঃ তাহা নয়। বরঞ্চ, মাছ চারেব দিকে ঝুকিয়াছে, হঠাৎ টোপ গিলিয়া ফেলা কিছুই বিচিত্র নয় । অনেকদিন পরে স্ত্রীব সহিত আজ তর্তাহাব সপ্তাবে বাক্যালাপ হইল। উমাব মুখে বিভা কিছু-কিছু ঘটনা শুনিয়াছিল, কহিল, আমি মনে করতুমি উষা বৌদিদির তুমি পরম বন্ধু ; তুমি যে আবার দাদার বিয়ের উদ্যোগ করতে পারো, মাসখানেক আগে এ-কথা আমি ভাবতেও পারতুম না । ক্ষেত্রমোহন কহিলেন, মাসখানেক পূর্বে কি আমিই ভাবতে পারতুম ? কিন্তু এখন শুধু ভাবা নয়, উচিত বলেই মনে হয় ৷ উষাবৌঠাকরুণের বন্ধু আমি এখনও, এবং চিরদিন তঁাব শুভ-কামনাই করব, কিন্তু যা হবাব নয়, হয়ে লাভ নেই, তাব জন্যে মাথা খুড়ে মরেই বা ফল কি ! বিভা অতি-বিজ্ঞেব চাপা হাসি দ্বারা স্বামীকে বিদ্ধ করিয়া বলিল, পুরুষমানুষ বলেই বোধ হয় বৌঠাকরুণটিকে বুঝতে এত দেরী হ’ল, আমি কিন্তু দেখবামাত্রই তাকে চিনেছিলুম। তাকে নিয়ে আমরা চলতে পারতুম না । ক্ষেত্রমোহন কহিলেন, সে ত চোখেই দেখতে পেলুম বিভা, তাকে সরে পড়তে হ’ল, এবং তঁর সম্বন্ধে আমাদের মধ্যে যে বোঝবার পার্থক্য ঘটেছিল, তাতেও সন্দেহ নেই। একটু অন্যরকমের হ’লে আজি জিনিষটা কি দাড়াত এখন, সে আলোচনা বৃথা, তবে এ-কথা তোমার মানি, ভুল আমার একটু হয়েছিল । বিভা কহিল, যাক, তা হ’লেই হ’ল। জপ-তপ আর হিন্দুয়ানীর মুখ্যাতিতে হঠাৎ যে-রকম মেতে উঠেছিলে, আমার তা ভয় হয়েছিল। আমরাও মুসলমান খৃষ্টান নই। কিন্তু নিজে ছাড়া সবাই ছোট, হাতে খেলে ছুলেই জাত যাবে এ-দৰ্প কেন ? শুধু ভট্টচাযিাগিরি ছাড়া আর সব রাস্তাই নরকে যাবার, এ ধারণা তার বাপের বাড়ীতে