s क्षिन्न ক্ষেত্রমোহন চুপ করিয়া থাকিতেন-বিভার দ্বারা বিশেষ কিছু যে হইবে তাহা বিশ্বাস করিতেন না, কিন্তু সমাজের সমবেত মর্যালপ্রেসারের প্রতি তঁহার আস্থা ছিল। দুর্বলচিত্ত শৈলেশ হয়ত তাহা বেশিদিন ঠেকাইতে পরিবে না, এ ভরসা তিনি করিতেন । এদিকে শৈলেশ আরও মাস-চ্যারেক ছুটি বাড়াইয়া লইয়াছিল, তাহাও শেষ হইতে আর দুই-মাস বাকী । চাকরী ছাড়িতে সে পরিবে না। তাহা নিশ্চয় । গঙ্গাস্নান ও ফোটা-তিলক যতই কেননা সে প্ৰয়াগে বসিয়া করুক, শ্ৰীগুরু ও গুরুভাইদের দল এ কুমতলব তাহাকে প্ৰাণ গেলেও দিবে না । তার পরে ফিরিয়া আসিলে একবার লড়াই করিয়া দেখিতে হইবে। সেদিন “চা খাইতে আসিয়া ক্ষেত্ৰমোহন কহিলেন, এবার কিন্তু উষা-বৌঠাকরুণ এলে, তঁাকে তাড়াতাড়ি ভাইকে ডাকিয়ে আর বাপের বাড়ী পালাবার ফন্দি করতে হবে না । জপ-তপের মধ্যে দু’জনের বনবোঁ । বিভার মুখ মলিন হইল, জিজ্ঞাসা করিল, তার আসার কথা তুমি শুনেচ নাকি ? - বিভা ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয়া আস্তে আস্তে বলিল, পাড়াগায়ে শুনেচি নানারকম তুকতাক আছে,-আচ্ছা, তুমি বিশ্বাস করা ? ক্ষেত্রমোহন হাসিয়া কহিলেন, না। যদিও বা থাকে তিনি এ-সব করবেন না । -কেন করবেন না ? ক্ষেত্রমোহন বলিলেন, বৌঠাকরুণের ওপর আমি খুলী নই, DDDS gD BDDB SBYLKBDL DBD BBSDD BSBBD DBDB কাজ যে তিনি করতেই পারেন না, তা তোমাকে দিব্যি ক’রে বলতে পারি ।
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।